এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে দুর্গাপুরের কমলপুরে সোমবার চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতার পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করায় পুলিশ মৃতার স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করেছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সোমবার মৃতার ময়নাতদন্ত করা হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এসএন বোস রোডের বাসিন্দা রণজিৎ ঘোষ ও মিঠু ঘোষের মেয়ে দীপার সঙ্গে কমলপুরের বাসিন্দা মমতা ঘোষের ছেলে কৌশিক ঘোষের বিয়ে হয়। অভিযোগ, মাত্র আট মাসে আগে বিয়ে হলেও বিয়ের প্রথম চার মাসের পর থেকেই স্বামী কৌশিক দীপাকে এড়িয়ে চলতেন। কথা বলতেন না। এক ঘরে থাকলেও দুজনের মধ্যে স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন ছিল না। অভিযোগ, স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন না থাকায় দীপাদেবী মনকষ্টে ভুগতেন। দীপাদেবীর পরিবারের অভিযোগ, দীপার শ্বাশুড়ির ইন্ধনেই স্বামী কৌশিকের চোখের বালি হয়ে ওঠেন সদ্য বিবাহিতা দীপা। মনের কষ্টে দীপা সময় অতিবাহিত করার জন্য একটি বেসরকারি বিএড কলেজে ভর্তি হন এবং সোমবার দীপার বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল বলে দীপার পরিবারের দাবি। কিন্তু সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় রহস্যজনক ভাবে ফোনে জামাই কৌশিক জানান দীপা আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ দীপার বাবা ও মায়ের।

জানা গেছে, দীপার শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের মেন হাসপাতালে দীপাকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দীপাকে মৃত ঘোষণা করেন। দীপার মা-বাবা কোনভাবেই মেয়ের আত্মহত্যার তত্ব মানতে না পেরে মেয়েকে খুনের অভিযোগ তোলেন। ডিএসপি মেন হাসপাতালেই জামাই কৌশিককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন দীপার পরিবারের লোকজন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দীপার শ্বাশুড়ি মমতা ঘোষকেও আটক করে বলে জানা গেছে। যদিও মমতাদেবী বৌমাকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Like Us On Facebook