অভাবের সুযোগ নিয়ে পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে ভিন রাজ্যে কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ। গুজরাট থেকে দুই কিশোরকে উদ্ধার করলো জামালপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার ২। পুলিশের তৎপরতায় গুজরাটে আটকে রাখা দুই কিশোর উদ্ধার হল। গ্রেপ্তার হল পাচারকারী ও দোকানে আটকে রাখা মালিক।

বছর দুয়েক আগে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ধাপধারা গ্রামের দুই কিশোরকে কাজ দেওয়ার নাম করে সেখ শাহাজাহান তাদের গুজরাটে নিয়ে যায়। সেখ শাহাজানের বাড়ি হুগলির দাদপুরের হেনোপাড়ায়। দুই কিশোর বিজয় চাঁদ বাউরী ও সাগর বাউরীকে গুজরাটের একটি সোনা রুপোর দোকানে কাজ দেয়।অভিযোগ তার বিনিময়ে দালালি বাবদ বেশ কিছু টাকা পায় শাহাজাহান। তারপর থেকে দুই কিশোরের সঙ্গে তাদের বাড়ির কোন যোগাযোগ ছিল না।

উদ্ধার হওয়া দুই কিশোর জানায়, দোকানের মালিক তপন মণ্ডল তাদের মোবাইল দুটি কেড়ে নিয়ে রেখে দেয়। বাড়ির সঙ্গে কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে দিত না। প্রতিদিন চলত নির্মম অত্যাচার। তাদের দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করানো হত। দিনে একবার খেতে দেওয়া হত। মাস ছয়েক আগে মালিকের অবর্তমানে দুই কিশোর দোকানে রাখা মোবাইল থেকে বাড়িতে ফোন করে তাদের দুরাবস্থার কথা জানায়। অক্টোবর মাসে জামালপুর থানায় দুই পরিবার গোটা বিষয়টি জানায়।পুলিশ প্রথমে দাদপুর থেকে সেখ শাহাজান ওরফে বাদশাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে নিয়ে জামালপুর থানার পুলিশ রওনা দেয় গুজরাট। সেখানে গুজরাট পুলিশের সাহায্য নিয়ে দোকান মালিক তপন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি দুবছর ধরে আটকে থাকা দুই কিশোরকেও পুলিশ উদ্ধার করে। ধৃত দুজনকে বুধবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।

Like Us On Facebook