নিজের নাতনিকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে দিদিমাকে গ্রেফতার করলো দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ধৃতের জামাই নাজিস খান বলেন, ‘আমার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিশুকে বিহার থেকে উদ্ধার করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। আমি ও আমার স্ত্রী খুশি পুলিশের ভূমিকায়। পুলিশ আমার বাচ্চাকে আমার স্ত্রীর কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে আমার শ্বাশুড়িকে। আমরা খুশি।’
জানা গেছে, দুর্গাপুর থানা এলাকার বিজু পাড়ার বাসিন্দা নাজিস খানের সাথে বিয়ে হয় বিহারের মাসরাক থানা এলাকার মুসকান খাতুনের। সাড়ে চার মাস আগে তাঁদের একটি কন্যা সন্তান হয়। জুন মাসের ২১তারিখে মুসকান খাতুনের মা শাহানা খাতুন বিহারে মেয়েকে ও নাতনিকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায়। তার দু’দিন পর মেয়ে মুসকান খাতুনকে বাড়িতে রেখে নাতনিকে মসারক থানা এলাকার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান শাহানা খাতুন। দীর্ঘ সময় পর নাতনিকে না নিয়েই বাড়িতে ফিরে আসেন অভিযুক্ত শাহানা খাতুন। মায়ের কাছে জানতে চায় তার মেয়ে কোথায়? শাহানা খাতুন তাঁর মেয়েকে বলেন যে নাতনিকে আমি বিক্রি করে দিয়েছি। তোর আবার বিয়ে দেব। এরপরেই মেয়ের আপত্তির কথা শোনার পর মেয়ে মুসকানের উপর মা অত্যাচার শুরু করেন বলে অভিযোগ। মুসকান কোনক্রমে বিহার থেকে দুর্গাপুরে ফিরে স্বামী নাজিস খানকে সব জানান। এরপরেই জুলাই মাসের ৭ তারিখে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে বিহারের মশারফ থানা এলাকা থেকে সোমবার উদ্ধার হয় শিশুটি, গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত দিদিমা শাহানা খাতুন। মঙ্গলবার তাঁকে আনা হয় দুর্গাপুরে এবং দুর্গাপুর আদালতে হাজির করা হয় অভিযুক্তকে।