উদ্বিগ্ন উখড়ার পর্ণশ্রী দাসের পরিবার

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলছে যুদ্ধ। যুদ্ধের জেরে আটকে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ছাত্র-ছাত্রী। কেউ মেডিক্যাল পড়ুয়া, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য আছেন ইউক্রেনে। কেউ আবার চাকরি সূত্রে ইউক্রেনে রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সরকার সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে। পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একই রকম ভাবে কন্ট্রোল রুমের নম্বর প্রকাশ করেছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ইউক্রেনে আটকে পড়া মানুষদের দেশে ফেরাতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে, কন্ট্রোল রুমের নম্বর 77193 77433, 86539 99902 .

জানা গেছে, পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু পড়ুয়া ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন। দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপের টেগর অ্যাভিনিউর বাসিন্দা নেহা খান ছাড়াও কোক ওভেন থানা এলাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাতুড়িয়া এলাকার যমজ দুই বোন ঝুমকি ও রুমকি গাঙ্গুলি ডাক্তারি পড়ার জন্য গেছেন ইউক্রেনে৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁরা সেখানে আটকে পড়ায় চিন্তায় পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে জমজ দুই মেয়ের সঙ্গে কথা হয় পরিবারের। পানীয় জলের সংকট, খাদ্যসঙ্কট, বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এছাড়াও নয়িম নগরের বাসিন্দা জিনাত আলমও আটকে পড়েছেন ইউক্রেনে। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন।

অন্ডালের উখড়ার পর্ণশ্রী দাসও মেডিক্যাল পড়তে ইউক্রেনে গেছেন। উখড়া গ্রামের সুভাষ পাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী নরেশ দাসের বড় মেয়ে পর্ণশ্রী। বাবা ছাড়াও বাড়িতে রয়েছেন মা মৌসুমী দাস ও ছোটবোন মানসী দাস। তিনি সেখানে আটকে পড়ায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে গোটা পরিবার। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে আসুক এটাই এখন পরিবারের প্রার্থনা। মা মৌসুমী দাস জানান, গতকাল থেকে বেশ কয়েকবার মেয়ের সাথে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা হয়েছে। ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস থেকে তাঁদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্ণশ্রী। যেকোন মুহূর্তে হোস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ এসেছে। দু’এক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী পোল্যান্ড অথবা অন্য কোন প্রতিবেশী দেশে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান পর্ণশ্রী।

Like Us On Facebook