করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন-এর হিউম্যান ট্রায়ালে অংশ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন দুর্গাপুরের স্কুলশিক্ষক চিরঞ্জীত ধীবর। বুধবার রাতে দুর্গাপুরের বাড়িতে ফেরেন চিরঞ্জীত ধীবর। দীর্ঘ এক মাসের ধকল সেরে বৃহস্পতিবার বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন চিরঞ্জীত।

বর্ধমান ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিরঞ্জীত ধীবর জানালেন, হিউম্যান ট্রায়াল শেষ হতেই ভুবনেশ্বর থেকে বুধবার রাতে দুর্গাপুরের বাড়িতে ফিরে এসেছি আমি। কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের ১০৪ দিন এবং ১৫৪ দিনের মাথায় ফের শারিরীক পরীক্ষার জন্য ভুবনেশ্বর যেতে হবে আমাকে। চিরঞ্জীত ধীবর বলেন, ‘আমার উপর কি কি পরিক্ষা হয়েছে তা আমি বলতে পারবো না। সেই সব আমাকে জানানো হয়নি হিউম্যান ট্রায়ালের প্রটোকল মেনে। তাই হিউম্যান ট্রায়ালের ব্যাপারে বিশদর বলতে পারবো না। তবে খুব ভালো ব্যবস্থাপনা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে বাড়িতে ফিরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে বলা হয়েছে, তবে খাওয়া দাওয়াও একদম স্বাভাবিক করতে বলেছেন। তবে মুখে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দুরত্ব অবশ্যই আমাকে মানতে হবে সেটা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।’

উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই স্কুল শিক্ষক দুর্গাপুরের চিরঞ্জীত ধীবর করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন-এর হিউম্যান ট্রায়ালে অংশ নিতে ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড এসইউএম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তারপর ২৫ তারিখ প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ১২ আগস্ট থেকে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়। ট্রায়াল শেষ হতেই চিরঞ্জীতবাবু বাড়ি ফেরেন বুধবার রাতে। সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরতেই তাঁর বাবা-মা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। তাঁরা বলেন, ‘চিরঞ্জীত করোনা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দিয়ে মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছে – এটা ভাবলে আমাদের গর্বে বুক ভরে যায়।’


Like Us On Facebook