শুরুটা ছিল ২০২০’র নভেম্বর, যেদিন দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙে বিপত্তি বেধেছিল। সেদিন কলকাতা থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য আলোচনার সাথে সাথে, দুর্গাপুরের বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলতে শহরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তিকে গুড ফর নাথিং বলেছিলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মেয়র সম্পর্কে। তৎকালীন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সাফ বলেছিলেন কোনভাবেই রেয়াত করা হবে না কাজের নিরিখে। মেয়র ভালমানুষ কিন্তু কাজ করতে না পারলে সরিয়ে দেওয়া হোক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরও পদে বহাল ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি।
কানাঘুষো বেশ কয়েকবার শোনা যাচ্ছিল মেয়রের পদত্যাগ নিয়ে, যার যবনিকা পড়ল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। জেলাশাসককে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়ে দুর্গাপুরের মেয়র অব্যাহতি চান এই পদ থেকে। ২০১৭সালে দুর্গাপুর নগর নিগমের ভোটে অরাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে দিলীপ অগস্তিকে নগর নিগমের ১১নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতিয়ে আনা হয়, মেয়র হিসেবে শপথ নেন দিলীপ অগস্তি। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিধান উপাধ্যায় জানান, দু-এক দিনের মধ্যে নতুন মেয়র ঠিক করে ফেলা হবে। এইদিকে এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বিরোধীরা।
সিপিআইএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার অভিযোগ করেন, দুর্গাপুরের মানুষের সাথে অবিচার করেছে তৃণমূল। মেয়রের পদত্যাগ নিয়ে যদি তৃণমূল ভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়ে গেছে তাহলে ভুল করবে। সামনের নির্বাচনে তৃণমূলকে হারতেই হবে। সুর চড়িয়ে জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অভিজিত দত্ত বলেন, ‘ব্যার্থ পুরসভা হিসেবে ফের তৃণমূল নিজেদের প্রমাণ করল, আর মেয়রের পদত্যাগ সেই কাজের প্রমাণ দিল। ৬ মাস বাকি আছে দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচনে, এরই মধ্যে সোমবার হঠাৎ করে মেয়র পদত্যাগ করাতে জোর রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে শহর জুড়ে।