বর্ধমান পৌরসভার পুর প্রশাসকের দায়িত্বে এলেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয় । বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক কে হবেন তা নিয়ে গত দু-তিন দিন ধরেই জেলা জুড়ে জোর জল্পনা চলছিল। নানান নাম উঠে আসছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মমতাজ সংঘমিতা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে চিটফান্ড কান্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে বর্ধমানের পুর প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে। পুর প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার পর দিনই শুরু হয় নতুন পুর প্রশাসক নিয়োগের তৎপরতা। পুরসভা পরিচালনার কাজে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে তা নিশ্চিত করতেই অতি দ্রুত নতুন পুর প্রশাসক নিয়োগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
খুব দ্রুত পুর প্রশাসক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, বিজেপি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বরাবরই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগায়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমরা পুর প্রশাসককে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি পুরসভার কাজের গতি বজায় রাখতে দ্রুততার সঙ্গে পুর প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আগের পুর প্রশাসক গ্রেফতারের পাঁচ দিনের মাথায় নতুন পুর প্রশাসকের নাম ঘোষণা করা হল।
কে নতুন পুর প্রশাসক হবেন তা নিয়ে বর্ধমান শহর তো বটেই জেলা জুড়েই জোর জল্পনা চলছিল। তৃণমূলের নেতা ও কর্মী মহলেও জোর গুঞ্জন চলছিল। পুর প্রশাসক হিসেবে উঠে আসছিল একাধিক নাম। সেই তালিকায় অনেকেরই নাম শোনা যাচ্ছিল। দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর থেকে শুরু করে শিক্ষক, চিকিৎসক অনেকের কথাই ভেবে দেখা হয়। শেষ পর্যন্ত পেশায় চিকিৎসক তথা বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিতাকেই পুর প্রশাসিকা হিসেবে বেছে নিল দল।
এক-দু মাসের মধ্যেই পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই অল্প সময়ের মধ্যে পুর প্রশাসকের দায়িত্ব নিতে নিমরাজি ছিলেন কেউ কেউ। আবার পুর প্রশাসকের পদ সামলালে নির্বাচনের পর বড় দায়িত্ব মিলতে পারে এমনটাও ভাবছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত দলের রাজ্য নেতৃত্ব মমতাজ সংঘমিতার ওপর আস্থা রাখলো।