বহুতল আবাসনে জলের সংকটে মেটাতে বোরিং করানোকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে স্থানীয় মানুষ ও বহুতল আবাসন কর্তৃপক্ষের মধ্যে ব্যাপক অশান্তির সৃষ্টি হয়। বহুতল আবাসন কর্তৃপক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমতি আছে এই দাবিতে যেমন অনড় তেমনই স্থানীয় মানুষও বোরিং করতে দেওয়া হবে না এই দাবিতে অনড় মনোভাবের ফলে দু’পক্ষই প্রায় মারমুখী হয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যদিও বড়সড় কোন ঘটনা ঘটেনি, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গী গ্রামের ‘বরসানা গার্ডেন’ বহুতল আবাসন কর্তৃপক্ষ ও আবাসিকদের সঙ্গে আবাসনে জল সরবরাহের জন্য পাম্প বসানোর জন্য বোরিং করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে রবিবার সকালে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের অভাব রয়েছে। শুকিয়ে যাচ্ছে বাড়ির কয়ো এবং পুকুরের জল। তার উপর বোরিং মেশিন বসিয়ে মাটির নীচ থেকে জল তুলে নিলে এলাকায় আরও বাড়বে জলের সমস্যা। অন্যদিকে ‘বরসানা গার্ডেন’ আবাসিকদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, দুর্গাপুর নগর নিগমের এবং কলকাতা থেকে স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডাইরেকটোরেটের অনুমতিক্রমে তাঁরা জলের পাম্প বসানোর জন্য বোরিং করার অনুমতি পেয়েছে। কোন রকম বেআইনি কাজ করা হচ্ছে না।
এমত অবস্থায় দুই পক্ষকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের জন্য যথেচ্ছ বোরিং করানোর বিষয়ে রাজ্য সরকার এবং দুর্গাপুর পুরসভার অনুমতি দেওয়ার সমালোচনা করেন। পঙ্কজবাবু বলেন, ‘সিপিএম সরকার ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের জন্য যথেচ্ছ বোরিং নিয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছিল এবং দেশের মধ্যে প্রথম আইনও করে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের জন্য বোরিং নিয়ে যথেচ্ছ অনুমতি দিলে পানীয় জলের সংকট দেখা দেবে এবং এর প্রতিবাদ হবেই।