মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে লকডাউনে রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা শুক্রবার বাড়ি ফিরল। শুক্রবার সকালে ১৩টি জেলার ১৭০০ ছাত্র-ছাত্রী ফিরল বলে জানান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুকেশ জৈন। বাসে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রাজ্যের মাটিতে এসে পা রাখেন রাজস্থানের কোটায় লকডাউনে আটকে পড়া ১৭০০ ছাত্র-ছাত্রী সঙ্গে অনেক অভিভাবকও ছিলেন।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোটা থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দেবার আগে দুর্গাপুরের কাঁকসার বাঁশকোপায় হোটেলে বিশ্রামের ব্যবস্থা হয়। এদিন পড়ুয়াদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তারপর হোটেলে বিশ্রামের পর দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে করে পড়ুয়াদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। এদিন কোটা থেকে আগত পড়ুয়াদের স্বাগত জানান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুকেশ জৈন, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে, দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্থি, জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জীতেন্দ্র তেওয়ারি সহ পদস্থ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।

পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন বলেন, ‘লকডাউনে রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া ১৩ টি জেলার ১৭০০ ছাত্রছাত্রী এদিন রাজ্য ফিরল। দুর্গাপুরের বাঁশকোপায় পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, খাওয়া-দাওয়া ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপর ১৩ টি জেলার ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডিএম ও এসপিদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।’ লকডাউনে রাজস্থানে আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীরা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আতিথেয়তা দেখে অভিভূত। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অভিভাবকরাও। নিজ নিজ এলাকায় ফেরার পর পড়ুয়াদের কোয়রান্টিনে থাকতে হবে বলে জানা গেছে।


Like Us On Facebook