একই নম্বর প্লেটের দুটি পুলকার দিব্যি পড়ুয়াদের নিয়ে যাতায়াত করছিল। দুর্গাপুর ডিএভি মডেল স্কুলের সামনে থেকে সোমবার পুলিশ আটক করেছে পুলকার দুটিকে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে, পুলকার দুটি বাঁকুড়ার। এতদিন ডিএভি মডেল স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে যাতায়াত করছিল। শেষমেশ সোমবার ধরা পড়ে যায় পুলকার দুটি। গাড়ি দুটির বিষয়ে বাঁকুড়া মোটর ভেহিকালস্ দফতরে খোঁজ-খবর শুরু করেছে দুর্গাপুর পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একই নম্বর প্লেট ব্যবহার করলেও বাঁকুড়ায় দুটি গাড়িই আলাদা আলাদা ভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল, যা গাড়ি দুটির চেসিস্ নম্বর দেখে চিহ্নিত করা গেছে। একই রেজিস্ট্রেশন নম্বরে (ডব্লু বি ৬৮ পি ৫৭০৯) এর দুটি গাড়ি। পুলিশ আটক করা পুলকার দুটিকে নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই জানা গেছে গাড়ি দুটিরই আলাদা আলাদা নম্বর প্লেট রয়েছে। দুটি গাড়িই ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কেনা এবং এগুলি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। এদের আসল মালিক বাঁকুড়ার বড়জোড়ার এক মহিলা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সেল কো-অপারেটিভের একটি পরিবহণ সংস্থা গাড়ি দুটি দুর্গাপুরে এনে পুলকার হিসেবে ব্যবহার করছিল এতদিন। দুর্গাপুরের এসিপি তথাগত পান্ডে বলেন, ‘অন্য গাড়িটির আসল নম্বর ডব্লু বি ৬৭-৯৯৯২, কিন্তু এটির রোড ট্যাক্স, ইন্সুরেন্স ফেল থাকায় ধরা পড়ার ভয়ে, চালাকি করে এই গাড়িতেও বৈধ গাড়িটির নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হচ্ছিল। আমরা আরও বিস্তারিত ভাবে বাঁকুড়ায় খোঁজ খবর নিচ্ছি।’ পুলকার জাল নম্বর ব্যবহার করে পড়ুয়াদের এতদিন যাতায়াত করার ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল পাপিয়া মুখার্জি বলেন, ‘ওই গাড়ি দুটি আমাদের স্কুলের নথিভূক্ত পুলকার নয়। আমাদের স্কুলে নথিভুক্ত সমস্ত পুলকারের ফিটনেস, ট্যাক্স, ইন্সুরেন্স তো বটেই গাড়িগুলির, চালক, খালাসির বায়োডাটাও আমাদের কাছে প্রতি বছর নতুন করে জমা রাখা হয়।’