আদালতে জামিন না মেলায় আদালত চত্ত্বর থেকে পুলিশের গাড়িতে আসামিদের ওঠানোর সময় দড়ি খুলে পালানোর চেষ্টা দুই বিচারাধীন আসামির। একজন পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি অপরজনের। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে একজন আসামিকে ধরে ফেললেও অপর আসামি চম্পট দিল অন্ধকারে। ধরা পড়া আসামির নাম তৌফিক সেখ আর পলাতক আসামীর নাম নাসের আলি বলে জানা গেছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় অন্ডাল থানার ডাকাতির কেসে অভিযুক্ত দুই আসামীকে আদালত চত্বর থেকে গাড়িতে তোলা হচ্ছিল সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর তখনই দড়ি খুলে ওই দুই আসামী দু’দিকে ছুট লাগায়। সিটি সেন্টারের দিকে পালিয়ে যেতে শুরু করলে পিছনে পিছনে ধাওয়া করে দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররাও। সিটি সেন্টারে সৃজনীর কাছে কিছু লোকজন একজনকে ধরে ফেললেও অপরজন সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডের দিকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পলাতক ওই আসামীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় আসামি তৌফিক শেখকে পুলিশ সিটি সেন্টারের সৃজনীর সামনে থেকে ধরে টোটো করে আনার সময় ধৃত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অন্ডালে থাকি। ঈদের আগে আমাকে ডাকাতির কেসে ধরেছে। আমরা জামিন পাচ্ছি না তাই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যাই।’ এদিকে আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের হাজত ইনচার্জ নৃপেন মুখার্জী।