এতদিন যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। এবার ভরা বাজারে ট্রাফিক ওসিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নিগৃহীত করে টোটো চালক ক্ষমতার আস্ফালন দেখাল। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের প্রান্তিকা বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। এই ঘটনার পর তোলপাড় দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল।
দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বেনাচিতি বাজারের ভিড় সামলাতে দুর্গাপুরের ট্রাফিক ওসি অনুপ হাটি প্রান্তিকার অবৈধ টোটো পার্কিং সরাতে গেলে প্রান্তিকার তালতলা বস্তির বাসিন্দা টোটো চালক শেখ আমিরুল ও তাঁর অনুগামীরা ট্রাফিক ওসির উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। নিজেকে দুর্গাপুর নগর নিগমের চেয়ারম্যান মৃগেন পালের খাস লোক বলে পরিচয় দিয়ে ট্রাফিক ওসি অনুপ হাটিকে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। অবস্থা বেগতিক বুঝে ট্রাফিক ওসি দুর্গাপুর থানায় বিষয়টি জানালে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
ট্রাফিক ওসি অনুপ হাটি এসিপি ট্রাফিক শাশ্বতী সামন্তকে বিষয়টি জানান। এসিপি ট্রাফিক শাশ্বতী সামন্ত বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ অভিযুক্তদের অভিযোগ সম্পর্কে দুর্গাপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান মৃগেন পালকে প্রশ্ন করলে মৃগেন পাল বলেন, ‘আমি ঘটনার কথা শুনেছি। পুলিশ প্রশাসনের উপর আমাদের কোন হস্তক্ষেপ নেই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছি পুলিশকে।’
ট্রাফিক ওসি অনুপ হাটি বলেন, ‘আমার উচ্চপদস্থ কর্তারা প্রান্তিকায় কড়া হাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি কোন অবস্থায় সেই নির্দেশ থেকে একচুলও সরছি না।’ খবর নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় তালতলার বাসিন্দা শেখ আমিরুল শাসক দলের ঘনিষ্ঠ কর্মী। অভিযোগ, বিভিন্ন টোটো চালকদের কাছ থেকে দৈনন্দিন মাথা পিছু ২০ টাকা করে তোলা আদায় করে অবৈধ টোটোর অবৈধ পার্কিং চালিয়ে মোটা টাকা আয় করে প্রান্তিকায়। এদিকে প্রশাসনিক নজর এড়িয়ে অসংখ্য অবৈধ টোটোয় জনবহুল বেনাচিত বাজারে নিয়মিত যানজট সৃষ্টি হয়। ওসি ট্রাফিক নিগৃহীত হওয়ার পর অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা দুর্গাপুরের মানুষ।