দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের অসুস্থ নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রের সংস্কারের পর রবিবার পুনরায় উদ্বোধন হল। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার উদ্ধোধন করেন। জন্মগ্রহণের পর কোন শিশু হিমগ্লোবিন, ফুসফুস ও জন্ডিস জনিত সমস্যায় ভুগলে লেজার লেন্সের মাধ্যমে হবে চিকিৎসা। যার মাধ্যমে শিশুদের শরীরে কোন প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, মহকুমাশাসক ড. সৌরভ চ্যাটার্জী, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মন্ডল সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা এবং দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত। জানা গেছে, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্তের সহযোগিতায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থা তাদের CSR প্রকল্পের মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২৫ লক্ষ টাকা তুলে দেয় দুটি অত্যাধুনিক যন্ত্রের জন্য। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলির মত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেরও মান উন্নয়ন হয়েছে এই সরকারের আমলে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে শুধু দুর্গাপুরের মানুষ নয়, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকার রোগীরা আসেন চিকিৎসার জন্য। তাঁদের যাতে সঠিক উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় সেজন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।’ অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার হচ্ছে রোগীদের। আর শিশুদের জন্য এই অত্যাধুনিক মানের যন্ত্র সদর্থক ভূমিকা নেবে বলেও আশাবাদী তিনি।