পথ সুরক্ষায় দুর্গাপুরের স্কুল ছাত্রী প্রজ্ঞার আবিষ্কার করা ‘স্মার্ট কার’ – অ্যালকোহল ডিটেক্টর অ্যান্ড ফেস স্ক্যানার ডিভাইসটিকে নিয়ে ইউনিসেফ ও গুজরাট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট যৌথ ভাবে আগ্রহ দেখাল। গাড়ি এবং বাইকের জন্য প্রজ্ঞার আবিষ্কৃত অত্যাধুনিক স্ক্যানারটির ভূয়শী প্রশংসা করে বহু সংস্থা‌ প্রজ্ঞাকে ইতিমধ্যেই সম্মানিত করেছে। সম্প্রতি ইউনিসেফ ও গুজরাট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট যৌথ ভাবে পথ সুরক্ষায় প্রজ্ঞার আবিষ্কৃত এই অ্যালকোহল ডিটেক্টর অ্যান্ড ফেস স্ক্যানার ডিভাইসটিকে বিভিন্ন গাড়িতে ইনস্টল করার আগ্রহ দেখিয়েছে – বর্ধমান ডটকমকে একথা জানান প্রজ্ঞার বাবা দেবাশীষ বিশ্বাস।

প্রজ্ঞা দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার বাসিন্দা। বাবা দেবাশীষ বিশ্বাস পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। মা অঞ্জনা বিশ্বাস শিক্ষিকা। মাত্র তিন হাজার টাকা খরচ করে তৈরি এই ডিভাইস বহু মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে, প্রজ্ঞার এই আবিষ্কার নিয়ে দেশ বিদেশের গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলিতেও চর্চা চলছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো বা গাড়ি চালাতে চালাতে চালক ঘুময়ে পড়ার কারণে প্রতি বছর বহু দুর্ঘটনা ঘটে। প্রজ্ঞার আবিষ্কৃত এই স্ক্যানার একদিন বহু মানুষের জীবন বাঁচাবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন প্রজ্ঞার বাবা-মা।

দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের‌ নবম শ্রেণীর ছাত্রী প্রজ্ঞা বিশ্বাস অ্যালকোহল ডিটেক্টর অ্যান্ড ফেস স্ক্যানার ডিভাইসটি তৈরি করেছে। তার আবিষ্কৃত অত্যাধুনিক স্ক্যানারটি গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি স্টার্ট করতে গেলে তা ডিটেক্ট করবে। এছাড়াও চোখের পাতা কতবার পড়ছে তাও হিসাব কষে চালকের ঘুম আসছে কিনা বা চালক ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিটেক্ট করে অ্যালার্ম বাজিয়ে সতর্ক করবে। চালক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি স্টার্ট করতে গেলে গাড়ি স্টার্ট হবে না এবং গাড়ির ভিতরে অ্যালার্ম বাজিয়ে যাত্রীদের সতর্ক করে দেবে। তাছাড়া কোন গাড়ির চালক যদি রাস্তায় চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বা ঘুমিয়ে পড়েন তাও ফেস স্ক্যানার ডিভাইসটি ডিটেক্ট করে গাড়ির ভিতরে অ্যালার্ম বাজাবে। গাড়ির যাত্রীদের জানান দেবে বলে দাবি প্রজ্ঞার।

কোথা থেকে এল এমন ডিভাইস তৈরির আইডিয়া – তা জানতে চাইলে বর্ধমান ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজ্ঞানমনস্ক প্রজ্ঞা জানায়, একবার বাবার সঙ্গে গাড়িতে লং ড্রাইভে যাওয়ার সময় পুলিশ রাস্তায় গাড়ি আটকে অ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে বাবাকে চেক করে। রাস্তায় বহু সময় নষ্ট হয় এতে। হয়রানিও‌ হতে হয় পথ চলতি মানুষকে। সেই দৃশ্য নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেই অত্যাধুনিক ভেহিকল অ্যালকোহল ডিটেক্টর ফেস স্ক্যানার ডিভাইস আবিষ্কার করার বিষয়টি মাথায় চেপে বসে আমার। তারপরেই বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তৈরি করি দুর্ঘটনা রোধক এই ডিভাইসটি।

Like Us On Facebook