বনধ রুখতে রাস্তায় নেমে পাল্টা মিছিল নয়। অশান্তি সৃষ্টি না করে বরং উল্টো পথে হেঁটে স্থানীয় মানুষের নজর কাড়ল শাসক দলের কর্মীরা। ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ পদক্ষেপ গ্ৰহণ করলো কাঁকসা ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্ৰেস কর্মীরা। কাঁকসা এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত মনীষীদের আবক্ষ মূর্তি রয়েছে সেগুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
একদিকে বাম-কংগ্ৰেস যখন যৌথভাবে ধর্মঘটে সামিল তখন সমাজ সংস্কারকদের সম্মান জানিয়ে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্ৰহণ করলেন তৃণমূল যুব কংগ্ৰেসের সদস্যরা। মনীষীদের মুর্তি গুলিকে জল দিয়ে ধুয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মূর্তি সংলগ্ন এলাকাকেও পরিচ্ছন্ন করে মুর্তিগুলিতে মাল্যদান করেন তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ধরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। একইভাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা কার্যালয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বনধের প্রভাব যে দুর্গাপুরে পড়েনি এবং বনধ ব্যর্থ হয়েছে তার পক্ষে দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জীতেন্দ্র তিওয়ারি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো-অর্ডিনেটর বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্থি সহ দুর্গাপুরের শাসকদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন দুর্গাপুরের গোগোলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পালন করা হল সংবিধান দিবস। এই উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় নতুনডাঙা কমিউনিটি হলে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ অন্যান্যরা। সংবিধান রচয়িতা বি আর আম্বেদকরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বক্তৃতায় বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘সংবিধান সব মানুষকে সমান অধিকার দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই সংবিধান আর অধিকার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। ফলে তাঁরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। তাই সকলকে সংবিধান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার প্রয়োজন আছে।’ পাশাপাশি তিনি জানান, এলাকার প্রত্যেকটি মানুষের হাতে সংবিধানের প্রতিলিপি তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।