দুর্গাপুরের স্টেশন সংলগ্ন সেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বাজারে ঘোরাঘুরি করা একটি ষাঁড়কে ভালোবেসে নাম দিয়েছিলেন ভোলা। ভোলার যত্ন-আত্তির কোন খামতি রাখেননি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আদরের ভোলাকে শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি খাওয়াতেন সেন মার্কেটের ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু সেই আদরের ভোলা আজ আতঙ্কর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে। ভোলা ভালো থাকলে বেশ ভালো, কিন্তু বিগড়ে গেলে আর রক্ষে নেই, যাকে সামনে পায় গুঁতিয়ে দেয়, ভোলার সিংয়ের আঘাতে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। একজনের অবস্থা তো বেশ সংকটজনক, ভয়ঙ্কর সেই ছবি সিসিটিভি লেন্সবন্দিও হয়েছে। গত একমাসের ব্যবধানে চার থেকে পাঁচ জন ভোলার সিংয়ের গুঁতোয় জখম হয়েছেন। কারও হাত ভেঙেছে তো কারও বুকে লেগেছে, ভোলার তাড়া খেয়ে পড়ে গিয়ে ঠোঁটও ফেটেছে একজনের।
এখন আবার শুধু ভোলা নয়, ভোলার সঙ্গে জুটেছে তার বেশ কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ যারা রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা সেন মার্কেটের পাইকারি বাজার। যেখানে সকালে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় কেনাকেটা করতে। এখন ভোলা আর তার সাঙ্গপাঙ্গদের দাদাগিরিতে ভয়ে বাজারমুখী হওয়া ছেড়ে দিয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ। আর যারা এই বাজারে বাজার করতে আসছেন তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কে বাজার করছেন। ইতিমধ্যে ভোর দাদাগিরি থেকে নিস্তার পেতে সরকারিস্তরে বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শিপুল সাহাও স্বীকার করে নেন ভোলা এখন আতঙ্কের কারণ ঝয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকায়। এখনই যদি ভোলা আর তার দলবলকে বাজার থেকে সরানো না যায় তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এখন ভোলার হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার পথ খুঁজছেন সেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।