দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে দলের বিক্ষুব্ধদের গোঁজ প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানোর হিড়িক পড়া দেখে বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে দুর্গাপুর ছুটে এলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। স্বপন দেবনাথ এদিন দুর্গাপুর তৃণমূলের শিল্পাঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি তথা দুর্গাপুর পৌরসভার সদ্য প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখার্জীর সঙ্গে ভিড়িঙ্গীর আনন্দ গোপাল মুখার্জী স্মৃতি ভবনে গোপন বৈঠক সারেন। বিক্ষুব্ধরা অপূর্ব মুখার্জীর অনুগামী ছিলেন বলেই এই বৈঠক বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এদিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে কি বিষয়ে আলোচনা হয় সে প্রসঙ্গ বলতে অস্বীকার করলেও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অপূর্ব মুখার্জী দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা বলে এক দিকে অপূর্ববাবুর মানভঞ্জন ও অপর দিকে দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন এদিন। স্বপন দেবনাথের সঙ্গে এদিন আসানসোলের বেশ কয়েকজন নেতাও দুর্গাপুরে আসেন।সকলেই বৈঠকের আলোচিত বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটায় রহস্য আরো ঘনীভূত হয়।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তালিকায় দুর্গাপুরের সদ্য প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখার্জীর অনুগামী অনেক কাউন্সিলরের নাম না থাকায় আসানসোলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নির্দলের টিকিটে দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর হুমকি দেন অনেক বিক্ষুব্ধ নেতা। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন পত্র তুলে নেন। এর পর পরই নির্দলের সংখ্যাটা বাড়তে থাকে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কড়া শাস্তি দেবার কথা মুখে বললেও আসন্ন পৌর নির্বাচনে দলের বিপর্যয় রুখতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বই সুর নরম করল। বিক্ষুব্ধদের মানভঞ্জনে দুর্গাপুরে ছুটে এসে স্বপন দেবনাথ অপূর্ব মুখার্জী সঙ্গে গোপন এক বৈঠক সারেন। এদিনের বৈঠককে ঘিরে দুর্গাপুরে মানুষের কৌতুহল ছিল চোখে পড়ার মত। সকলেই উৎসূক তৃণমূলের গলার কাঁটা হয়ে গোঁজ প্রার্থীরা কি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে নিবার্চনে লড়ে দলের বিরুদ্ধে হাঁটবে নাকি মুল স্রোতে ফিরতে গোপন রফা মেনে দুই পক্ষই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াইএর ময়দানে নামবে।