মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কথায় অবশেষে মানভঞ্জন হল দুর্গাপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস শিল্পাঞ্চল সভাপতি তথা দুর্গাপুরের সদ্য প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখার্জীর। দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে অপূর্ব মুখার্জীর কিছু অনুগামী কাউন্সিলরের টিকিট না পাওয়া ও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের মদতে আসানসোল বিগ্রেডের নেতারা দুর্গাপুরে ছড়ি ঘোরানোয় বেজায় চটেন তৃণমূল কংগ্রেসের ফাউন্ডার মেম্বার ও দুর্গাপুর তৃণমূল কংগ্রেসের এক সময়ের অদ্বিতীয় পুরুষ।
৫ বছর দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র থাকার পর সদ্য প্রাক্তন মেয়র অপূর্ববাবু অভিমানে পৌর নির্বাচনের লড়াই থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে সরিয়ে নেন। নেতার প্রতি অবিচারের বদলা নিতে বিক্ষুব্ধ দলীয় অনুগামীদের বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই শেষমেষ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা হতেই নির্বাচনের মুখে দলের ভাঙ্গন আটকাতে নড়ে চড়ে বসে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।
দলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসকে না পাঠিয়ে অপূর্ব মুখার্জী ও স্বপন দেবনাথের সুসম্পর্কের কথা মাথায় রেখে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে অপূর্ব মুখার্জীর সঙ্গে বৈঠক করতে পাঠান। দু’জনের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় বেশ কিছুক্ষণ। বৈঠকের বিষয়বস্তু না জানালেও স্বপন দেবনাথ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ঘোষণা করেন দুর্গাপুরে অপূর্ব ছিল, আছে, থাকবে। এর পরই বরফ গলে। অপূর্ববাবুর অনুগামী এবং দলের বিক্ষুব্ধরা নির্দল হিসাবে দলীয় সিম্বলের বিরুদ্ধে লড়বে কিনা সেই বিষয়টি রহস্যাবৃত থাকলেও শুক্রবার তৃণমূলের দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে অপূর্ব মুখার্জী দলীয় প্রার্থীদের পাশেই দাঁড়ান এবং পৌর নির্বাচনে দলীয় সিম্বল ঘাস ফুল প্রতীকের হয়েই যে তিনি প্রচার করবেন সে কথা সকলের সামনেই ঘোষণা করেন। এদিন যদিও অপূর্ব মুখার্জীর সর্বক্ষণের সাথী ছিলেন মন্ত্রী তথা দলের দূত স্বপন দেবনাথ। অপূর্ববাবুর মানভঞ্জনের খবরে ফের রাজনৈতিক অঙ্কের জট বেঁধে দুর্গাপুরের রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে থাকে।