দুর্গাপুরের ফরিদপুর গ্রামে প্রাক্তন শিক্ষক তপন মুখার্জী খুনের মূল অভিযুক্ত ধৃত প্রদীপ চৌহানকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে পেয়ে খুনের আগে উত্তর প্রদেশ থেকে এসে যে সব হোটেলগুলিতে প্রদীপ চৌহান থাকত সেই হোটেলগুলিতে প্রদীপকে নিয়ে গিয়ে পুলিশ পুনর্নির্মাণ করল। এদিন পুনর্নির্মাণের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সাবলীল ভাবেই দেয় ধৃত প্রদীপ চৌহান।
প্রদীপ চৌহান এদিন বলে, তার সঙ্গে মৃত তপন মুখার্জীর মেয়ে শিবানীর ফেসবুক থেকে সম্পর্ক হয়। সে যে এর আগে বেশ কয়েকবার শিবানীর বাড়িতে এসেছে সেকথাও স্বীকার করে। প্রদীপ চৌহান দাবি করে বলে, শিবানীর মা-বাবার অনুপস্থিততে সে শিবানীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার শিবানীর বাড়িতে মিলিত হয়েছে। ধৃত প্রদীপ চৌহান এদিন পুনর্নির্মাণ চলাকালীন আরও বলে, শিবানী তাকে শারিরীক সম্পর্কের চাহিদার জন্যই ডাকে। প্রদীপ চৌহান দাবি করে বলে, ঘটনার আগে বেশ কয়েকবার শিবানীর সঙ্গে প্রদীপ সিটি সেন্টার বেড়াতে গেছে। এবং শিবানীর সঙ্গে তার এক ফ্রেমে ছবি আছে সে দাবিও করে এদিন উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে।
এদিন প্রদীপ চৌহানকে নিয়ে পুলিশ দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী মোড়ের প্যারাডাইস হোটেল ও কোয়ালিটি হোটেলে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করায়। প্রদীপ চৌহানকে এদিন এক ঝলক দেখতে দুই হোটেলের সামনে ভিড় জমে যায়। তাদের দু’জনের সম্পর্কে শিবানীর বাবা তপন মুখার্জি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তাই ঘটনার দিন তপনবাবু প্রতিবাদ করায় তাঁকে রান্না ঘরের চাকু দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করে প্রদীপ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গল অথবা বুধবার শিবানীর মা সুনন্দা মুখার্জী ও শিবানীকে পুলিশ জেরা করতে পারে। প্রয়োজনে শিবানী ও প্রদীপকে মুখোমুখি বসিয়েও দু’জনের বক্তব্য নিতে চায় পুলিশ। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় শিবানীর মায়ের ভূমিকাও ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।