দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্লান্ট(এএসপি) বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ এবার জঙ্গী আন্দোলনের পথে পা বাড়াল। শনিবার যৌথ মঞ্চের সদস্যরা দুর্গাপুরের গান্ধী মোড় থেকে ২ নং জাতীয় সড়ক ধরে ভিড়িঙ্গী মোড় পর্যন্ত আসার পথে হঠাৎই ফরিদপুর ফাঁড়ির কাছে মিছিল পৌঁছালে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বেশকিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তারপর আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারনারেটের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। আইএনটিইউসির নেতা বিকাশ ঘটক বলেন, ‘এএসপি কারখানা বাঁচাতে সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চ এখন মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। যেকোনোভাবে আমাদের এএসপি কারখানা বাঁচাতে হবে। এএসপি কারখানা ও ডিএসপি কারখানাকে আধুনিকরণ করলেই এএসপি ও ডিএসপি কারখানা লাভজনক হবে। তাই কোন ভাবেই আমার এএসপি কারখানা বেচতে দেব না। এএসপি কারখানা বাঁচাতে আমরা যেকোন মূল্য দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’

দুর্গাপুরের এএসপি কারখানা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি যৌথভাবে দীর্ঘদিন ধরেই এএসপি কারখানা গেটের সামনে আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনকে বৃহত্তর আকার দিতে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জঙ্গী আন্দোলনের পথে পা বাড়ালেন বলে মনে করছেন দুর্গাপুরের মানুষ। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার জাতীয় সড়ক অবরোধ মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘এদিন মানুষের আন্দোলনে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল জাতীয় সড়ক। এএসপি কারখানা বাঁচাতে শ্রমিক স্বার্থে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল এএসপি কারখানা গেটের সামনে তা দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। আজকের জাতীয় সড়ক স্তব্ধ হয়ে পড়া তার খন্ডচিত্র মাত্র।’



Like Us On Facebook