সাব-মার্সিবল পাম্পের সাহায্যে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ পানীয় জল তোলা রুখতে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের নির্দেশে বুধবার থেকে জেলা জুড়ে বিশেষ অভিযান শুরু হল। বুধবার দুর্গাপুর মহকুমার ধবনী ও বিজড়া গ্রামে বিভিন্ন মাঠে অভিযান চালায় রাজ্য জল অনুসন্ধান দফতর (স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট বা সুইড)-এর আধিকারিকরা। দুর্গাপুরের মহকুমা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার অবৈধ ভাবে ভূগর্ভস্থ পানীয় জল তোলার বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানে নামে। যদিও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। অভিযান চলাকালীন সবাই পালিয়ে যায়।

দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে জানান, এই অভিযানে ধবনী ও বিজড়া গ্রামে চাষের জন্য ভূগর্ভস্থ পানীয় জল তোলার কাজে ব্যবহারের সাব-মার্সিবল পাম্পের জন্য ব্যবহৃত জেনারেটর, পাইপ সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমাপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কেবলমাত্র গ্রামীণ এলাকাই শুধু নয়, দুর্গাপুর মহকুমার শহরাঞ্চলেও স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের বিনা অনুমতিতে সাব-মার্সিবল পাম্প বসিয়ে কোন ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে যদি ভূগর্ভস্থ পানীয় জল তোলার খবর পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে প্রশাসন যদি অভিযানে অবৈধ ভাবে ভূগর্ভস্থ পানীয় জল তোলার প্রমাণ পায় তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জেলা প্রশাসন। দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এই অভিযান এবার টানা চলবে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের স্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে। তাই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মতো এরাজ্যেও স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টও ভূগর্ভস্থ পানীয় জল উত্তোলনের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিনা অনুমতিতে ভূগর্ভস্থ পানীয় জল উত্তোলন এখন অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। সুইড আধিকারিকরা জানান, ২০০৫ সালের আইন অনুযায়ী চাষের জন্য ৩০ মিটার পর্যন্ত মাটির নীচ থেকে জল তুলে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু কখনোই তা বাণিজ্যক ভাবে ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হচ্ছে তার উল্টো।




Like Us On Facebook