নিজেদের দুবাইবাসী বলে ভারতীয় টাকা দেখার অছিলায় বিভিন্ন দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা হাতিয়ে চম্পট দিচ্ছে এক অজ্ঞাত পরিচয় দম্পতি। দম্পতির শিকার এক দোকানি এই মর্মে অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার কোক ওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বিভিন্ন দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত কেপমার দম্পতিকে ধরার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগকারী অভিজিৎ গুপ্তা এক কাপড়ের শোরুমের কর্ণধার। তিনি বলেন, ‘আমার দোকানে ঢুকে এই দম্পতি নিজেদের দুবাইবাসী পরিচয় দিয়ে নতুন ভারতীয় ২০০ টাকার নোট দেখার আগ্রহ দেখায়। অপরিচিত দীর্ঘদেহী পঞ্চান্ন ছাপান্ন বয়েসের ওই লোকটির সঙ্গে একজন পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই মহিলাও ছিলেন। দু’জনেই ভাঙা হিন্দি সঙ্গে অনর্গল ইংরেজি ভাষায় কথা বলছিলেন।’ অভিজিৎবাবু বলেন, ‘আমার কাছে নতুন ২০০ টাকার ভারতীয় নোট কেমন হয় এই কৌতুহল দেখানোয় আমি ক্যাশ বাক্স থেকে ২০০ টাকার নোট দেখাতে গেলে উনি নিজেই ক্যাশ বাক্সের কাছে এসে টাকা হাতড়াতে থাকেন। তাঁকে সরে যেতে বলেলে তিনি চলে যান। এরপর হঠাৎই আমার নজরে পড়ে ক্যাশ বাক্সে রাখা পঁচিশ হাজার টাকার একটা বান্ডিল গায়েব। ওই টাকাটা আমার গাড়ির ইনস্টলমেন্টের জন্য রাখা ছিল।
একই অভিযোগ করেন সগড়ভাঙার জোনাল মার্কেটের আর এক দোকানদার। তাঁর কাছেও নিজেদের দুবাইবাসী বলে পরিচয় দিয়ে অভিযুক্ত দম্পতি ২০০ টাকার নোট দেখার আগ্রহ দেখান, কিন্তু দোকানে যথেষ্ট ক্রেতা থাকায় এবং দোকানি কড়া নজরদারি রাখায় ওই দোকানে কেপমার দম্পতি সুযোগ নিতে পারেনি বলে জানা গেছে। এখন ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন কে এই অপরিচিত দম্পতি? পুজোর মুখে ব্যস্ত দোকান থেকে অভিনব কায়দায় ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা লুটের জন্য একের পর এক দোকানে হানা দিচ্ছে? পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিনব কায়দায় কেপমারির কিনারা করতে জোর তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গেছে।