দুর্গাপুর পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলায় ছুটির দিন, রবিবার সন্ধ্যায় মানুষের ঢল নামে। বইপ্রেমী মানুষ সহ উৎসবে-আনন্দে মেতে উঠতে শহরের আট থেকে আশি সকলেই ছুটির দিনে সন্ধ্যায় পাড়ি দিলেন সিধু-কানু ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বইমেলায়। বইমেলার আনন্দ উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্নে বইমেলার দুটি বিশেষ স্টল- দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটি ও দুর্গাপুর সাবডিভিশনাল ভলান্টারি ব্লাড ডোনারস ফোরামের স্টলে ভীড় জমালেন সমাজ সচেতন দুর্গাপুরবাসী।

ছুটির দিনে বইমেলায় গিয়ে বই পড়া, লিটিল ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টানো থেকে কফি হাউসে আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি অনেকেই সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্নে স্বেচ্ছায় রক্তদান বা মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার পত্রে সাক্ষর করলেন। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটির স্টলে মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকার করেন পানাগড়ের কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রমা বন্দোপাধ্যায়। উৎপলবাবুর বাড়ি বাঁকুড়ার বড়জোড়ায়। উৎপলবাবু ও রমাদেবী বলেন, ‘বইমেলায় ঘুরতে এসে মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম আমরা। বহু দিনের ইচ্ছা আজ পূরণ হল বইমেলায় এসে।’

উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় ও রমাদেবীর মতো অনেকেই বইমেলায় এসে দুর্গাপুর সাবডিভিশনাল ভলান্টারি ব্লাড ডোনারস ফোরামের স্টলেও স্বেচ্ছা রক্তদাতা হওয়ার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানা গেল। সংস্থার স্বেচ্ছাসেবিকা পাপিয়া ঘোষ, অর্পিতা দে ও স্বস্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শিল্পাঞ্চলের মানুষ আজ অনেক সচেতন, তাই বইমেলায় এসেও একবার আমাদের স্টলেও খোঁজ খবর নিয়ে যাচ্ছেন।’ সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্নে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুর যে আগামী দিনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে সেই দাবি করেন দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটি সম্পাদক কাজল রায় ও রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজলবাবু জানান, দু’দিনে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন মরণোত্তর চক্ষুদানের নিয়মাবলী নিয়ে খোঁজ খবর করেছেন। তারমধ্যে ১২ জন চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। জানা গেছে, শিল্পাঞ্চলের মানুষ মরণোত্তর চক্ষুদানের পাশাপাশি মরণোত্তর দেহদানের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

দুই বর্ধমান জেলার খবরে আপডেটেড থাকতে আপনার ফেসবুকে ‘See First’ অ্যাক্টিভেট করুন




Like Us On Facebook