ছেলে ও বৌমার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। এই ঘটনায় দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের রাণা প্রতাপ রোডে শুক্রবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, ডিএসপি কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী চিত্তরঞ্জন দাস ও লিপিকা দাস ছেলে সঞ্জয় দাস ও বৌমা সোমা দাস এক নাতিকে নিয়ে রাণা প্রতাপ রোডের ডিএসপি কোয়ার্টারে দীর্ঘদিন ধরে থাকতেন। প্রায়ই ছেলে-বৌমার সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকতো বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের। প্রতিবেশীরাও বৌমা সোমা দাসের দুর্ব্যবহারের দাস দম্পতির সঙ্গে বাড়িতে দেখা করতে যেতে পারতেন না বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের।
অভিযোগ, ছেলে-বৌমার লাগামহীন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের রুমে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় বৃদ্ধ শ্বশুর চিত্তরঞ্জন দাস মারা যান, শ্বাশুড়ি লিপিকা দাস আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই প্রতিবেশীরা দাস দম্পতির ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। মৃত চিত্তরঞ্জন দাসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশের সামনেই ছেলে ও বৌমা সোমা দাসকে দেখে মারমুখী হয়ে ওঠেন ক্রুদ্ধ প্রতিবেশীরা। দু’পক্ষের মধ্যে মারধর শুরু হয়ে যায়। পুলিশ দু’পক্ষকে সাময়িক ভাবে শান্ত করে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বৌমা সোমা দাস প্রতিবেশীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করা হয়েছে, তখন কোথায় ছিল এই প্রতিবেশীরা। আমাকে এখন কেন দোষী করা হচ্ছে?’ অভিযুক্ত ছেলে সঞ্জয় দাসও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।