সমস্ত প্রচেষ্টা জলে গেল। আপাতত দামোদরের আপার স্ট্রিম জলশূন্য হয়ে গেল। দুর্গাপুর ব্যারেজের আপার স্ট্রিম জলশূন্য হয়ে যাওয়ায় আপাতত দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সাময়িক জল সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার ভোর রাতে হটাৎ বেঁকে যায় দামোদরের ১নম্বর লক গেটটি। হু হু করে প্রবল জল রাশি বেরিয়ে যেতে থাকে। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারা গত ২৪ ঘন্টা ধরে লাগাতার বালির বস্তা দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করেন। পরিকল্পনা মত একটি ভাসমান লক গেট লাগিয়ে আপদকালীন দুর্যোগ সামলানোর ব্যবস্থা করা চলছিল। সেই মত ডিভিসির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীর রাতভর কাজ করেন। সেচ দপ্তরের যুগ্ম সচিব দেবাশীষ সেনগুপ্ত, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা, মেয়র দিলীপ অগস্তি, এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিসিপি পূর্ব অভিষেক মোদী কখনো কখনো পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা শাসক শশাঙ্ক শেঠির নজরদারিতে লক গেট মেরামতির কাজ চলে যাতে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে জলের সঙ্কট তৈরি না হয়। কিন্তু কাজের ফাঁকেই জল আপনমনে বেঁকে যাওয়া লক গেট গলে দামোদরের আপার স্ট্রিম জলশূন্য হয়ে পড়ল। স্বাভাবিক ভাবেই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সাময়িক জলশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কাই সত্য হল।

নজিরবিহীন এই ঘটনা চাক্ষুস করতে দামোদর ব্যারেজে মানুষের ঢল মেনেছে। পুলিশও পুরো পরিস্থিত কড়া নজর রাখছে। যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ১৯৫৫ সালে দামোদরে ব্যারেজ তৈরি হয়। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই নজিরবিহীন বিপর্যয়ের সন্মুখীন হতে হল বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করল সেচ দপ্তরের যুগ্ম সচিব দেবাশীষ সেনগুপ্ত। এই বিপর্যয়কে মেকানিক্যাল ফল্ট বলে দাবি করেন দেবাশীষবাবু। সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাময়িক জলের সমস্যা হলেও মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যে জল বেড়িয়ে গেছে তাতে সেচ বা পানীয় জল সরবরাহে দীর্ঘকালীন কোন সমস্যা তৈরি হবে না।

Like Us On Facebook