শেষমেশ নেহেরু স্টেডিয়ামের মাঠ ভরলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের মানুষের মন ভরলো না। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলা সফরে এসে প্রথমে সকালে ঠাকুরনগর ও পরে দুপুর ২টোয় দুর্গাপুরের নেহেরু স্টেডিয়ামে জনসভা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুরু করতে গিয়ে দুর্গাপুরের মানুষকে বাংলায় সম্বোধন করে ‘দুর্গাপুরের মানুষকে আমার নমষ্কার’ বলে উপস্থিত শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যান। প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাংলা শুনে তখন গোটা মাঠ জুড়ে উপস্থিত দর্শকরা মোদী-মোদী রব শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এদিন শুক্রবারের অর্থমন্ত্রী পিযূষ গয়ালের বাজেট ঘোষণার প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। ভাষণের ছত্রে ছত্রে প্রধানমন্ত্রী বাজেটে ঘোষিত বিভিন্ন সুবিধার কথা ব্যাখা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেহেরু স্টেডিয়ামের মঞ্চে দাঁড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শিল্পাঞ্চলের মানুষের মন জয় করতে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে বাজেটের বিস্তারিত ব্যাখা করেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কার্ড বিলি করতে না দেওয়াকে হাতিয়ার করে নরেন্দ্র মোদী এদিন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে নিজস্ব ঢঙে বলেন, ‘ভোট এসে যাওয়ায আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের হেল্থ কার্ড বিলি হয়ে গেলে গরীব মানুষের উপকার হলে সব ভোট বিজেপি পেয়ে যাবে তাই দিদি ভয় পেয়ে গেছেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছেন বাংলার মানুষকে।’

মোদী এদিন তাঁর ভাষণে বিরোধীদের ব্রিগেড সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সব দুর্নীতিগ্রস্ত বিরোধী শক্তি এক হয়ে ব্রিগেডের সমাবেশে মঞ্চে হাতে হাত রেখে মোদীকে কেন্দ্র থেকে সরানোর জন্য মাঠে নেমে পড়েছে।’ মোদী এদিন বাংলার সন্তান স্বামী বিবেকানন্দ থেকে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির অবদান উল্লেখ করে বিজেপি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে বলেন, ‘আর বেশি দূরে নয় রাজ্য থেকে এবার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার সময় এসে গেছে।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে এলেও শিল্পাঞ্চলের বন্ধ কলকারখানা বা রুগ্ন শিল্প সংস্থা গুলির‌ পুনর্জীবনের জন্য বিনিয়োগ নিয়ে কিছুই উল্লেখ করলেন না। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হলেও হতাশ শিল্পাঞ্চলের মানুষ।




Like Us On Facebook