কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে৷ এই শিক্ষকদের নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ বরখাস্ত হওয়া এই শিক্ষকদের মধ্যেই রয়েছেন দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের নবঘনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার-ইনচার্জ সুশান্ত কুমার চ্যাটার্জী। তার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খনি অঞ্চলের শিক্ষা মহলে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যে কোর্টের নির্দেশে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে প্রাথমিকের ২৬৯ শিক্ষককে। যারা কাজ হারিয়েছে তাঁদের মধ্যে তালিকায় রয়েছেন দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের নবঘনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুশান্ত কুমার চ্যাটার্জীর নামও। তিনি স্কুলে টিচার-ইনচার্জ পদে ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাউদোহা গ্রামের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা সুশান্ত চ্যাটার্জী। শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে সুশান্তবাবু চুক্তিভিত্তিতে কাজ করতেন দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক অফিসে। টেট পরীক্ষা দিয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন অন্ডাল ব্লকের একটি বিদ্যালয়ে। ২০১৯ সালে আবেদনের ভিত্তিতে তিনি যোগ দেন নবঘনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত ১৫ তারিখ ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল দফতরে কাজ থেকে বরখাস্ত করার জন্য নামের একটি তালিকা পাঠায় উচ্চ আদালত। সেই তালিকায় নাম রয়েছে শিক্ষক সুশান্তবাবুরও। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে দুর্গাপুর নর্থের এসআই সুধাংশুশেখর চক্রবর্তী জানান, এটি আদালতের নির্দেশ। নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার লাউদোহা গ্রামে সুশান্তবাবুর বাড়ি গেলে দেখা যায় বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বহু ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ। সুশান্তবাবুর চাকরি যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এদিন স্কুলের সামনে জটলা করেছিলেন স্থানীয়রা। তবে তাঁরাও এই বিষয়টি নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।