জটিল অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে নতুন জীবন দিলেন বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তড়িঘড়ি অপারেশন করে রোগীর পেট থেকে বের করা হল ২৫০টি পেরেক ও ১৬টি কয়েন। এই ঘটনায় তাজ্জব বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। রোগী এখন অনেকটাই সুস্থ।

মঙ্গলকোটের কৃষ্ণবাটি গ্রামের  বাসিন্দা বছর আটত্রিশের সেখ মইনুদ্দিন গত ১৫-১৬ বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। পরিবারের লোকেরা বর্ধমান হাসপাতালের মানসিক বিভাগে নিয়মিত চিকিৎসাও করান। শনিবার সকাল থেকে কোন কিছুই খাওয়া দাওয়া করছিলেন না মইনুদ্দিন। পেটে ব্যাথা অনুভব করায় মঙ্গলবার বর্ধমান শহর সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের এক চিকিৎসককের কাছে মইনুদ্দিনকে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ডাক্তারের পরামর্শ মত  মইনুদ্দিনের এক্সরে করে জানা যায়, তাঁর পেটে প্রচুর পেরেক রয়েছএ। মইনুদ্দিনের অপারেশন করার জন্য এক লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায়, এমনই দাবি পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার সামর্থ তাঁদের না থাকায় বুধবার সকালে মইনুদ্দিনকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা এক্স-রে করে তাঁকে ভর্তি করেন। রাতে সার্জারী করে তাঁর পেট থেকে ২৫০ টি পেরেক, ১৬ টি কয়েন ও বেশ কিছু পাথর কুচি বের করেন। আপাতত তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন বর্ধমান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ। এই অপারেশন বর্ধমান হাসপাতালের এক অভুতপূর্ব সাফল্য বলে জানান তিনি।

মইনুদ্দিনের দাদা সেখ মসলিনউদ্দিন বলেন, ‘ভাইয়ের মানসিক সমস্যার কারণেই এই ঘটনা। আমরা ভাবতে পারিনি এত সহজ ভাবে বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসকরা ভাইয়ের পেট থেকে এত পেরেক, কয়েন অপারেশন করে বার করবেন। বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ।’

Like Us On Facebook