বিশেষ করে বাচ্চাদের হাত, পা, মুখে জল-ফোসকার মত এক ধরণের রোগ এটি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে ‘হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ বা সংক্ষেপে এইচএফএমডি। নামেই রোগ সম্পর্কে বোঝা যায়। দুর্গাপুরের বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আশীষ কোনার এমনই বললেন। তিনি আরও বলেন, ‘এই রোগ ভাইরাস ঘটিত , শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশ যন্ত্রণাদায়ক, সময়মতো চিকিৎসা করাতে হয়। তবে চিকিৎসা না হলেও আক্রান্ত হওয়ার দিন দশেক পর আক্রান্ত শিশু নিজে থেকেই সুস্থ হয়ে ওঠে। এই ভাইরাস ঘটিত রোগটি অবশ্যই ছোঁয়াচে। তাই আক্রান্ত শিশুকে বাড়িতে আলাদা করে যত্ন নিলে শিশুটির কষ্ট দ্রুত লাঘব হয়। আর রোগটিও অন্য শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে না।’ চিকিৎসক আশীষ কোনার বলেন, ‘দুর্গাপুরে এই রোগের প্রকোপ বেশ দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন আমার চেম্বারে আট দশটি করে শিশু চিকিৎসার জন্য আসছে। অভিভাবকদের অকারণে ভয় না পেয়ে, আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে শিশুদের সময় মতো চিকিৎসা করা ও যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের প্রি-প্রাইমারি সেকশনের কয়েকজন পড়ুয়ার হাত, পা, মুখে জল-ফোসকার মতো কিছু বের হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি মাঙ্কি পক্স বলে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ভাইরাল হয়। প্রশাসনও নড়েচড়ে বসে। খোঁজখবর শুরু হয়। সতর্কতা হিসাবে দুর্গাপুরের ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটির প্রি-প্রাইমারি বিভাগে পড়ুয়াদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি দিয়ে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার আক্রান্ত একটি শিশুর চিকিৎসক আশীষ কোনারকে এই রোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি অভিভাবকদের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার অভয় দেন, প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে শিশুদের প্রতি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে সূত্রের খবর জেলা স্বাস্থ্য দফতর গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। মানুষের মন থেকে আতঙ্ক দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে।