দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগীদের রক্তের জোগান দিতে ভ্রাম্যমাণ স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের ব্যবস্থা করল দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সদস্যরা। লকডাউনের কারণে মহকুমা হাসপাতালে এসে রক্তদান এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের কাছে। রক্তদাতারা রক্তদানের ইচ্ছার কথা সংস্থার কর্মকর্তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে একবার জানালেই বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির হয়ে যাচ্ছে এই ভ্রাম্যমাণ স্বেচ্ছা রক্তদান সংগ্রহের গাড়িটি। আর এই মহত কর্মসূচিকে সব রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ২৩ এপ্রিল প্রথম জেলার বুকে দুর্গাপুরে এই ভ্রাম্যমাণ স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির হয় সিটি সেন্টারে। ওইদিন ৩২ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। তারপর থেকেই নিয়মিত চলছে এই ভ্রাম্যমাণ রক্তদান শিবির। সোমবার হল দুর্গাপুরের বেনাচিতির অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদে। এখানে ক্লাবের কর্মকর্তা থেকে সাধারণ সদস্য মিলে ৩০ জন এই ভ্রাম্যমাণ রক্তদান শিবিরে রক্তদান করেন। ৩ মে পর্যন্ত টানা কর্মসূচি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফোরামের কর্মকর্তারা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে কবি ঘোষের দাবি, কেবলমাত্র জেলা নয় সম্ভবত দেশের মধ্যে লকডাউনে এই ধরনের ভ্রাম্যমাণ স্বেচ্ছায় রক্তদাতা শিবিরের উদ্যোগ এই প্রথম হল। লকডাউনে রক্তদাতাকে আর হাসপাতালে আসতে হচ্ছে না। আমরা গাড়ি নিয়ে যাচ্ছি রক্তদাতার বাড়ির দোরগোড়ায়। কবি ঘোষ বলেন, ‘লকডাউনে আমরা ২০০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করে মহকুমা হাসপাতালের হাতে তুলে দেওয়ার মনস্থির করেছি। আমাদের সংস্থাকে এই মহান কাজে অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করতে দিয়েছে সম্রাট অ্যাম্বুলেন্স সংস্থা আর দুর্গাপুর মহকুমা ব্লাড ব্যাঙ্কও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।’