দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের লেবার রুমের প্রসুতির ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্গাপুর মহকুমা কার্যালয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু করল। সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস, দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক লাবলি রায় সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক ও নার্সিং স্কুলের কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতেই ভিডিও ছড়ানোর দোষ স্বীকার করা নার্সিং স্কুলের দুই নার্সকে প্রশাসনিক বৈঠকেই মহকুমাশাসক ভিডিওটি ছড়ানোর বিষয়ে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুর্গাপুর মহকুমা কার্যালয়ে। জানা গেছে অভিযুক্ত দুই নার্স তাঁদের দোষের কথা স্বীকার করেছেন মহকুমাশাসকের কাছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পুর্বে দোষ স্বীকার করা নার্সদের লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে প্রশাসনিক কর্তারা সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তী পর্যায়ে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে দোষীদের বিরুদ্ধে।

এদিকে নার্সিং স্কুল কর্তৃপক্ষও দোষী দুই নার্সকে সাসপেন্ড করেছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সেই দিনের লেবার রুমে ডিউটি করা দুই নার্সকেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শো-কজ করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে হোয়াটস্ অ্যাপ থেকে ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধীকে খুঁজতে সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। দুর্গাপুর মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বর্ধমান ডট কমকে বলেন, ‘ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধ স্বীকার করেছে নার্সিং স্কুলের দুই নার্স। ওই দুই নার্সকে লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তী পর্যায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে দোষীদের বিরুদ্ধে। নার্সিং স্কুল কর্তৃপক্ষ দুই নার্সকে সাসপেন্ড করেছে। নার্সিং স্কুলটির মহকুমা হাসপাতালে নার্সিং প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারকে এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধীকে ধরতে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

Like Us On Facebook