শুক্রবার ভোরে দুর্গাপুর ব্যারেজের স্লুইস গেট বেঁকে গিয়ে বিপত্তি। ব্যারেজের ১ নম্বর গেট দিয়ে সকাল থেকেই হু হু করে জল বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ঘটনার খবর পেয়ে দুর্গাপুর ব্যারেজের ইঞ্জিনিয়াররা ও ডিভিসির আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ক্রেন এনে জল বন্ধ করার চেষ্টা ব্যর্থ হলে কলকাতা থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের ডাকা হয়। শুক্রবার দুপুরে কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের একটি টিম এসে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে দেন। দুর্গাপুর ব্যারেজের এই জল মূলত শিল্পাঞ্চলের পানীয় জল সরবরাহ, সেচ ও কলকারখানায় ব্যবহৃত হয়।
ইতিমধ্যে ব্যারেজের জলস্তর বেশ কিছুটা নেমে যায়। তবে সেচ দফতর থেকে জানানো হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। পানীয় জলের এখনই কোন সমস্যা হবে না। তবে ইরিগেশন দফতর থেকে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে গেট মেরামতির কাজ ব্যাহত না হয়। সেচ দফতর থেকে জানানো হয়েছে এর ফলে কৃষির ক্ষেত্রে জলের কোন সমস্যা হবে না।
খবর পেয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র দিলীপ অগস্তি, এডিডিএ’র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা ব্যারেজ পরিদর্শনে যান এবং পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন। জানা গেছে, কলকাতা থেকে আসা ইঞ্জিনিয়াররা বালির বস্তা ফেলে জল বন্ধের চেষ্টা করছেন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের মানুষজন ব্যারেজে ভীড় জমাচ্ছেন। পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।