ছেলে-বউমার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে রাস্তায় আশ্রয় নিলেন অশীতিপর বৃদ্ধা। দু’রাত রেল স্টেশন, রাস্তায় কাটালেন তিনি। শীতের রাতে অসহায় বৃদ্ধা সামান্য পোশাকে রাত কাটালেও দেখেও দেখেননি অনেকেই। বৃহস্পতিবার দিনের শেষে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাঁর ঠাঁই হয়েছে সরকারি হোমে।

বর্ধমানের জেলাশাসকের দপ্তরের কাছেই বুধবার সন্ধ্যে থেকে পড়েছিলেন এই বৃদ্ধা। নাম পার্বতী সাউ। বাড়ি তারকেশ্বর নতুন বাজার এলাকায়। চার ছেলে ও তিন মেয়ের মা। অথচ শেষ বয়সে দেখে না কেউই। এখন ছোট ছেলের কাছে থাকছিলেন। সেখানে পচা ভাত খেতে দেওয়া হয় তাঁকে। মুখ খুললে ঘরে ঢুকিয়ে মারধর করে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ জানান বৃদ্ধা। ছোট বউমাকে সম্পত্তি লিখে না দেওয়ার জন্যই এই নির্যাতন বলে অভিযোগ তাঁর। সেই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতেই অশক্ত শরীর নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন মঙ্গলবার সকালে। ব্যান্ডেল স্টেশনে সেই রাত কাটিয়ে ট্রেনে চেপে বর্ধমানে এসে একটু আশ্রয়ের আশায় জেলাশাসকের অফিসের কাছে খোলা আকাশের নীচে পড়ে ছিলেন তিনি। অবশেষে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে সমাজ কল্যাণ দফতর তাঁকে উদ্ধার করে কলানবগ্রাম হোমে রাখার ব্যবস্থা করেছে।

Like Us On Facebook