স্বমহিমায় ফিরতে চলেছে দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজ। ক্ষতিগ্রস্ত ১ নম্বর লকগেটটি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মেরামতির পর প্রশাসনিক ঘোষণা মত মাইথন থেকে খেপে খেপে ছাড়া জলে দামোদর ব্যারেজ জল শূন্যতা কাটিয়ে ভরে উঠছে। শনিবার মধ্য রাতে লকগেটের মেরামতির কাজ শেষ হতেই সমস্ত কর্মী, ইঞ্জিনিয়ার ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা লকগেট থেকে ব্যারেজের উপরে উঠে আসেন। এর পর নিয়ম অনুযায়ী মাইথন ড্যামের আধিকারিকদের কাছে প্রশাসনিক বার্তা পৌঁছানোর পর মাইথন ড্যামের আধিকারিকরা দামোদর ব্যারেজের উদ্দেশ্যে রবিবার সাত সকাল থেকেই খেপে খেপে জল ছাড়তে শুরু করে দেয়।
সকাল ১০ টার সময় বেশ কিছুটা ভরে উঠেছে দামোদর ব্যারেজ। ৪৮ ঘন্টা ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সফলভাবে মেরামত করার পর কর্মীরা সকলে যেমন খুশি তেমনি জলশূন্য অবস্থা থেকে জলপূর্ণ দামোদর দেখে আতঙ্কিত দুর্গাপুর সহ দামোদরের ওপারের বাঁকুড়া জেলার মানুষও খুশি হয়। এদিকে দামোদর জলের স্রোত বাড়তে থাকায় দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন থেকে শনিবারের মত অবিরাম দামোদরে না নামার নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হলেও অনেক বেপরোয়া মানুষ নিজস্বীর টানে দামোদরের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক বলেন, সমস্ত উৎকন্ঠা শেষ হল। ১ নম্বর লকগেটের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামতির কাজ শেষ হয়ে গেছে মধ্য রাতে। এখন মাইথন ড্যাম পরিমাপ মত খেপে খেপে জল ছাড়ছে। দামোদর আবার স্বমহিমায় ফিরছে।
এদিকে দুর্গাপুরের আপদকালীন ভিত্তিতে পানীয় জল সঙ্কট মেটাতে দুর্গাপুর নগর নিগমের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে আসানসোল পৌরসভা রবিবার সকালেই ২৫টি পানীয় জলের ট্যাঙ্কার পাঠাল দুর্গাপুরে বলে জানা গেছে। দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন থেকে জানা গেছে দামোদর প্রয়োজন মতো ভরে ওঠার পরই দুর্গাপুর শহরে ফের জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর রাতে জলের তোড়ে ১ নম্বর লকগেটটি বেঁকে গিয়ে দামোদর জলশূন্য হয়ে পড়ে। গত ৪৮ ঘন্টা ধরে বিশেষজ্ঞ টিম ক্ষতিগ্রস্ত লকগেটটি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতে মেরামতির কাজ করে। রবিবার ফের মাইথনের ছাড়া জলে দামোদরের জল রাশি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।