আহত বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়কে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে দেখতে গিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভি শিবদাসন সোমবার কথা দিয়েছিলেন ডিপিএল প্ল্যান্টের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শনিবার সিপিএমের বিদ্যুৎ বিলের ডেপুটেশনে সিপিএম বিধায়ক সহ সিপিএম কর্মীদের মারধরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ জড়িত থাকলে দল তাকে রেয়াত করবে না। পুলিশও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখছে।
সোমবার শাসক দলের জেলা সভাপতির এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশ শনিবার সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় সহ সিপিএম কর্মীদের মারধরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নয়ন মালাকারকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করল। এই ঘটনায় শিল্পাঞ্চল জুড়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেক মনে করছেন সৌজন্যের রাজনীতিতে আহত বিধায়ককে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে কথা রেখে শাসকদলের জেলা সভাপতি বিরোধী দলের বিধায়ক মারে দোষীকে গ্রেপ্তার করে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করলেন।
যদিও সিপিএমের পক্ষ থেকে শনিবারের ঘটনায় ৭ জন সরাসরি অভিযুক্ত সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেযওয়া হয় কোকওভেন থানায়। তার মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করলেও সিপিএম কর্মীরা এটি একটি শাসক দলের ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন। জানা গেছে, অভিযুক্ত নয়ন মালাকারের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩২৫, ৩৭৯, ৩২৩ এবং ৩৪১ ধারায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। এদিকে অভিযুক্ত নয়ন মালাকারকে মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করলে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নয়ন মালাকার সংবাদ মাধ্যমে কাছে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। এদিন নয়ন মালাকারকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালত ৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।