দুর্গাপুরে বেনাচিতির মহিষ্কাপুর প্লটের কাবুলিওয়ালা খুনে বাড়ির চাবিই খুনিকে ধরিয়ে দিল । কাবুলিওয়ালা হাসম খান খুনের কিনারা প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের এসিপি তথাগত পান্ডে বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বাড়ির চাবির সুত্র ধরেই খুনের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাই এবং শেষমেষ খুনি ধরা পড়ে।’ মঙ্গলবার দুর্গাপুরের এসিপি তথাগত পান্ডে, দুর্গাপুর থানার ওসি সৌমেন্দ্র সিংহ ঠাকুর সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের পাশে বসিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করেন।
এসিপি তথাগত পান্ডের দাবি, কাবুলিওয়ালা হাসম খানের সুদের কারবারের লেনদেনে যুক্ত ছিল কাবুলিওয়ালার রাঁধুনি জহর আলি শেখ। কাবুলিওয়ালার সমস্ত হিসাব সেই রাখত। এই নিয়ে মনোমালিন্য হয় উভয়ের মধ্যে। এরপরেই দরজা বন্ধ করে কাবুলিওয়ালা হাসম খানকে ভারি বস্তু দিয়ে খুন করে। খুনের পরপরই রাঁধুনি কাবুলিওয়ালার কাছে গচ্ছিত ৯৪,২০০টাকা একটি মোবাইল একজোড়া সোনার গহনা চুড়ি সহ কাবুলিওয়ালার হিসাব খাতাটি নিয়ে যায় একটি ব্যাগে করে। বাড়ির একজোড়া চাবি ছিল মৃত কাবুলিওয়ালার পকেটে। অপর চাবিটি ছিল কাবুলিওয়ালার রাঁধুনি জহর আলি শেখের ব্যাগে। পুলিশ কাবুলিওয়ালা হাসম খানের খুনের পরপরই তাঁর পকেট থেকে দুটো চাবি পেতে এবং দরজা বন্ধ করে রাঁধুনি স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি চলে যাওয়া সূত্র ধরেই ওইদিন রাতেই বাঁকুড়ার বড়জোড়ার হাট আশুড়িয়া থেকে খুনিকে আটক করে। এসিপি তথাগত পান্ডে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, জহর আলি শেখকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করলে শেষমেষ জহর আলি শেখ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে কাবুলিওয়ালা হাসম খানকে খুনের কথা স্বীকার করে।