পেট চালাতে দেবতারাই ভরসা। তাই জন্মাষ্টমীর দিন সাত সকালেই কৃষ্ণের সাজে সেজে ঘরথেকে বেরিয়ে পড়েন জয়ন্ত ভূমিজ। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম মোসগড়ের বাসিন্দা। সেখান থেকে পায়ে হেঁটেই তিনি পৌছে যান জামালপুরের বিভিন্ন গ্রামগুলিতে। কৃষ্ণের সাজে সেজে থাকা জয়ন্ত ভূমিজ গ্রামবাসীদের এদিন কৃষ্ণের নামগানও শোনালেন। খুশি হয়ে ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা কেউ চাল, কেউ আবার সামান্য অর্থ তুলে দিলেন বহুরূপী জয়ন্তর হাতে। হাসিমুখেই তা গ্রহণ করেন জয়ন্ত ভূমিজ। গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে বিকালে তিনি পৌঁছলেন জামালপুরের ঝুলন মেলায়। মেলায় আগত সকলের মনোরঞ্জন করে আবার পায়ে হেঁটেই ফিরে চললেন নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
জয়ন্ত ভূমিজ জানিয়েছে, সারা বছর ক্ষেতমজুরির কাজ তেমন জোটে না। সংসারে অনটন লেগেই আছে। তাই পেটের অন্ন সংস্থানের জন্য দেবতাদেরকেই তিনি আঁকড়ে ধরেছেন। যখন যে পুজো আসে তখন সেই দেবতার সাজে সেজেই তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান। মানুষজন খুশি হয়ে যে অর্থ সাহায্য তুলে দেন তাই তিনি গ্রহণ করেন। জয়ন্ত ভূমিজ জানালেন, জন্মাষ্টমীর দিন যে রোজগারপাতি হল তা দিয়ে তাঁর পরিবার সদস্যদের কয়েকদিনের অন্নের সংস্থান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘দেবতার সাজই আমার রুটি রুজির ভরসা।’