দুর্গাপুরে মুথুট ফিন্যান্সে ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত সকলের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০,০০০ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা আদালত। শুক্রবার দুর্গাপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ মুথুট ফিন্যান্সে ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ৬ জন আসামিকে ১৪ বছরের জেল ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করেন। শুক্রবার দুর্গাপুর আদালত চত্ত্বরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে আসামিদের রায় শোনানোর জন্য আদালতে হাজির করা হয়। এদিন দুর্গাপুর আদালতে রায় শোনার জন্য উপচে পড়ে ভিড়।
দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি দশরথ মাহাতো, উত্তম মাহাতো, সবুজ মাহাতো, নন্দ লাল মাহাতো, বাবু রাজ ও রনজিৎ গিরিদের রায় শোনানোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন গলদ না রাখতে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স দেওয়া হয় আদালত চত্ত্বরে। রায় শোনার পর আদালত থেকে পুলিশ জেলে নিয়ে যাবার সময় আসামিদের চোখে মুখের মধ্যে কোন রূপ টেনশনর ছাপ দেখা যায় নি। উল্টে দেশের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড ৬ আসামিকে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই প্রিজন ভ্যানে উঠতে দেখা যায়। ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বেনাচিতির মুথুট ফিন্যান্সে দিনে দুপুরে ডাকাতি হয়। ডাকাত দল বন্ধকি সংস্থার ভল্ট ভেঙে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রায় ৩৬ কেজির মতো স্বর্ণালঙ্কার লুঠ করে নিয়ে চম্পট দেয়। একই সঙ্গে প্রমাণ লোপের জন্য সংস্থার সিসিটিভির হার্ড ডিস্কটিও খুলে নিয়ে যায় ডাকাতদল। পুলিশ ও সিআইডির তৎপরতায় ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ছয়জনকে ও মাত্র ৫ কেজি সোনা উদ্ধার হয়।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তের ভার তুলে দেয় সিআইডির হাতে। পুলিশ ও সিআইডির তৎপরতায় পুরো চক্রটি ধরা পড়ে। চার বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে আসামিদের কড়া শাস্তি দিল আদালত। সরকারি আইনজীবী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বলেন, ‘আসামিরা খুব ধুরন্ধর। সকলেই দাগী আসামী। মুথুট ফিন্যান্সে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ৬ আসামির প্রত্যেককে মহামান্য আদালত ১৪ বছর করে জেল ও ৫০,০০০ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ বছরের জেলের শাস্তি ঘোষণা করেছেন।’ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ ন্যায়ালয়ে যাবার কথা জানান।