শুভেন্দু অধিকারীর পদ ছাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল নেতাদের অসন্তোষের প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুনীল মন্ডল বলেন, ‘দল ভাঙার মূল কালপ্রিটই হল পিকের ‘আই প্যাক’। আই প্যাকই দলকে ভুল পথে চালনা করছে। আই প্যাক বাংলাকে বিহার, ঝাড়খন্ড মনে করেছে।’ বুধবার রাতে এভাবেই সাংসদ সুনীল মন্ডল দল ভাঙার জন্য সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ম্যানেজার পিকের আই প্যাককেই দায়ী করলেন।
সুনীল মন্ডল এদিন দলকে ভুল পথে চালনার জন্য আই প্যাকের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সমান দায়ী করেন। সুনীল মন্ডল বলেন, ‘আই প্যাক ঠিক করে দেবে কি রঙের জামা কাপড় পরবো? আমি রাজনীতি করে বড় হয়েছি। এখন শিখতে হবে? দলকে সংশোধন করতে হবে অবিলম্বে।’ তাঁর অবস্থান কি এই মুহূর্তে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মন্ডল সরাসরি বলেন, ‘এখনও তো তৃণমূলেই আছি। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি আলোচনা করবো আমরা। দল যদি আমাদের কথা শোনে ভাল। না হলে নিজের নিজের পথ দেখে নিতে হবে আমাদের।’
বুধবার সন্ধ্যায় পানাগড়ে সুনীল মন্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী সহ জীতেন্দ্র তিওয়ারি, গুসকরার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমানের কাউন্সিলর নুরুল হাসান দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী, দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নং বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে গোপন বৈঠকও হয়। তাহলে সুনীল মন্ডলের বাড়ি থেকেই রাজ্য রাজনীতির কি নুতন দিশা দেখা যাবে – এই প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুনীল মন্ডলের প্রতিক্রিয়া, সময় কথা বলবে।