দামোদর সহ রাজ্যের বিভিন্ন নদীর খুব শীঘ্রই সংস্কার করা হবে এবং দামোদরের উপর আরও দুটি ব্যারেজ নির্মাণ করা হবে। হাইড্রোলজিক সিস্টেমের মাধ্যমে দামোদর সহ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত নদীতে নদীর নাব্যতা বাড়ানো হবে বলে জানান রাজ্যের সেচ দপ্তরের সচিব গৌতম চট্টোপাধ্যায়। দামোদর ব্যারেজে ১ নম্বর লকগেট মেরামতির তদারকি করতে এসে শনিবার দামোদরের বুকে বালু চরে দাঁড়িয়ে একথা জানান রাজ্যের সেচসচিব গৌতম চট্টোপাধ্যায়। গৌতমবাবু বলেন, বিশ্বব্যাঙ্কের দেওয়া ৩২৫ কোটি টাকায় এই সংস্কার কাজ করা হবে।
লকগেট মেরামতি প্রসঙ্গে গৌতমবাবু বলেন, যে ভাবে কাজ চলছে তাতে আশা করছি শনিবার মধ্য রাতে লকগেট মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তারপর ব্যারেজটিকে রবিবার সকাল নাগাদ মাইথনের ছাড়া জলে পূর্ণ করা হবে । তারপর একটি ভাসমান গেট ভাসিয়ে এনে ১ নম্বরের মেরামত করা লকগেটের সঙ্গে সেট করে দেওয়া হবে। গৌতমবাবুর দাবি, সব কিছু ঠিক থাকলে রবিবার ফের দামোদর ব্যারেজ জলে পরিপূর্ণ হয়ে সমহিমায় গর্জে উঠবে। এদিকে শনিবার উইকএন্ডে দামোদর ব্যারেজের জলশূন্য দৃশ্য উপভোগ করতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই আপার স্ট্রিমের বালু চরে বিচের আনন্দ উপভোগ করল। গোটা দামোদর তীরবর্তী এলাকা মেলায় পরিনত হয়। এদিকে দামোদর জলশূন্য হয়ে পড়ায় স্থানীয় মৎস্যজীবীরা স্বল্প জলে দামোদর থেকে মাছ ধরে চড়া দামে বিক্রি করছে। এদিকে রাত্রি ৮ টার সময় দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা ফের দামোদর ব্যারেজের ক্ষতিগ্রস্থ লকগেট মেরামতির কাজ দেখতে যান।