দুর্গাপুর আদালতের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সোমবার প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করে গেলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। বর্তমানে দুর্গাপুর আদালত দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের ভবনে চলে। আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ হলেও স্বল্প পরিসরের ওই ভবনে আদালত চালানো সম্ভব নয়, এই অভিযোগে আইনজীবিরা দীর্ঘদিন ধরেই নতুন ভবনে যেতে চাইছেন না। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আইন মন্ত্রক ৬০ একর জমি দিয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জমি পরিদর্শন করে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
দুর্গাপুরে আদালত ভবনের জন্য প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করে বিচারপতি সোজা আসানসোলে যান এবং সেখানেও নির্মীয়মাণ আদালত ভবনের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন পিডব্লুডি ডিপার্টমেন্টকে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দুর্গাপুর ও আসানসোলে নতুন আদালত ভবনের পরিকাঠামো পরিদর্শনের বিষয়টি বর্ধমান জেলা ভাগের প্রক্রিয়ার একটি ধাপ বলে মনে করছেন আইনজীবি মহল। কারণ জেলা ভাগ করতে গেলে হাইকোর্টের প্রয়োজনীয় অনুমতি লাগে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে নতুন বছরের শুরুতেই বর্ধমান জেলা ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,”দুর্গাপুর আদালত বর্তমানে মহকুমা প্রশাসন ভবনে চলছে। নতুন আদালত ভবনটির স্বল্প পরিসর ও পার্কিং সমস্যা রয়েছে। তাই নতুন আদালত ভবন নির্মাণের জন্য ৬০ একর জমি দেওয়া হয়েছে। এদিন বিচারপতি নতুন আদালত ভবন নির্মাণের জন্য ওই জমি পরিদর্শনে এসেছিলেন। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।”