দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী আমবাগানে ভাড়া বাড়িতে এক পুলিশ আধিকারিকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে শুক্রবার সকালে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গেছে, মৃতার নাম তন্দ্রা ঘোষ (৪২)। স্বামীর নাম সুব্রত ঘোষ। দুর্গাপুরে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত। শুক্রবার স্পেশাল ডিউটিতে তারকেশ্বর ছিলেন সুব্রতবাবু। সুব্রত ঘোষ ও তন্দ্রাদেবীর একমাত্র ছেলে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ঘটনার সময় ছেলেও স্কুলে ছিল।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সুব্রতবাবুর বাড়ির পারিচারিকা কাজ করতে এসে তন্দ্রাদেবীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে বাড়ির মালিককে জানালে বাড়ির মালিক পুলিশ আধিকারিক সুব্রত ঘোষকে খবর দেন। এরপরেই পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তন্দ্রাদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করার পর পুলিশ ওই বাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

বাড়ির মালিক জানান, কয়েক মাস আগে পুলিশ আধিকারিক সুব্রত ঘোষ স্ত্রী তন্দ্রাদেবী ও এক মাত্র ছেলেকে নিয়ে এই বাড়ির একতলা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। সুব্রত ঘোষের ঘনিষ্ট রামবিলাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তন্দ্রার বাবা আমার বন্ধু ছিলেন। আমি তন্দ্রাকে আমার মেয়ের মতো ভালবাসি। সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি সুব্রতর অবর্তমানে এই বাড়িতে আসত। সুব্রত বা সুব্রতর ছেলে বা আমি কেউ এটা পছন্দ করতাম না। সঞ্জয়ের বাঁকুড়ায় বাড়ি। বর্তমানে উখরায় থাকত। তন্দ্রাকে সঞ্জয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে বলতো সঞ্জয় আমার দাদার মতো। পুলিশ ওই সঞ্জয়কেই প্রাথমিক ভাবে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তদন্তের স্বার্থে বাড়ির একতালাটি পুলিশ সিল করে দেয়।

শুক্রবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা ঘটনার তদন্ত খতিয়ে দেখেন দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক মোদী, এসিপি সহ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে। ডিসিপি অভিষেক মোদী বলেন, ‘গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।’


Like Us On Facebook