রবিবার দুর্গাপুর আদালতের নতুন ভবনের শিলান্যাস করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। সিটি সেন্টারে ৬০ কাঠা জমির উপর ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দুর্গাপুর আদালতের নতুন ভবন। প্রধান বিচারপতি সহ মঞ্চে উপস্থিত বিশষ্টজনেরা প্রদীপ জ্বালিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পরে প্রধান বিচারপতি রিমোটের সাহায্য দুর্গাপুর আদালতের নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান জোনাল জজ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জোনাল জজ সব্যসাচী ভট্টাচার্য, শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিলীপ বিশ্বাস সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ও বিশিষ্টজনেরা।
রাজ্যে ২২ লক্ষ মামলা জমে রয়েছে। একজন বিচারপতি তিনজন বিচারপতির কাজ করছেন। রাজ্যের অনেক আদালত ভবনই ভাড়ায় চলছে। তবে বর্তমানে বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় নতুন আদালত ভবন তৈরি হচ্ছে। দুর্গাপুর আদালতের নুতন ভবনের শিলান্যাস করতে এসে রবিবার দুর্গাপুরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন রাজ্যের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য।
নতুন ভবনে বিচার ব্যবস্থা ডিজিটালাইজড করা হবে। নতুন আদালত ভবনটি হবে সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। রাজ্যের অন্যান্য আদালতগুলির কাছে এই আদালত ভবন হবে একটি মডেল আদালত বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সাত তলা আদালত ভবন নির্মাণের পরিকাঠামো থাকছে। বর্তমানে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে আদালতের নতুন ভবনের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে দাবি আইন মন্ত্রীর।
দুর্গাপুর আদালতের আইনজীবীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নতুন ভবন নির্মাণের। তাই এদিন দুর্গাপুর আদালতের নতুন ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে আইনজীবীদের মধ্যে উৎসবের মেজাজ দেখা যায়। শিলান্যাস অনুষ্ঠানের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রশাসনিক ভবনের একটি ঘর নিয়ে দুর্গাপুর আদালতের পথ চলা শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে সেই আদালত সিটি সেন্টারের এডিডিএ বিল্ডিংয়ে স্থানান্তরিত হয় যা ভাড়াতে বর্তমানে চলছে। স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুর আদালতের আইনজীবী মহল নতুন আদালত ভবনের শিলান্যাস হওয়ায় খুশির মেজাজে রয়েছেন।