পুলিশের জুলুমের প্রতিকার চেয়ে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের চলা ধর্মঘটে সামিল হল বাজারের সব্জি ব্যবসায়ীরাও। বুধবার বেনাচিতি বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা পুলিশের তোলাবাজি ও পুলিশের অভিযানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে টানা বন্‌ধ শুরু করেছেন। মাছ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে এবার সামিল হলেন বাজারের সব্জি ও ফল ব্যবসায়ীরাও।

বৃহস্পতিবার সকালে বেনাচিতি বাজারের গিয়ে দেখা গেল গোটা বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে আগামী দিনের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবসায়ীরা এখনই সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে নারাজ। সুত্র মারফৎ জানা গেছে, পুলিশের তোলাবাজি ও পুলিশের অভিযানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এই আন্দোলন গোটা জেলা জুড়ে ছড়িয়ে দিতে ব্যবসায়ী সমিতি এবার যে আদাজল খেয়ে নেমেছে তা বোঝা গেল ব্যবসায়ীদের অনড় মনোভাবে।

ব্যবসায়ী সমিতির এক কর্তা বলেন, ‘এবার আমরা এই পুলিশি জুলুমের একটা বিহিত করতে চাই। পুলিশ ৩ জুন মাছের গাড়ির চালকের কাছে চাহিদামতো তোলা না পেয়ে নির্মম ভাবে মারলো। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করায় উল্টে পুলিশের রোষানলে পড়ল বেনাচিতি বাজারের ব্যবসায়ীরা। দূরদুরান্তের মাছের গাড়ি বেনাচিতি বাজার সহ দুর্গাপুরের বিভিন্ন মাছ বাজারে ভয়ে আর আসতে চাইছে না। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরে মাছ বাজারে মাছের জোগানে টান পড়েছে। সামনেই জামাই ষষ্ঠী। মাছ বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই চরম সংকটে পড়েছে। অথচ পুলিশ কর্তারা পুলিশকে মারধরের অভিযোগে লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।’ ব্যবসায়ী সমিতির ওই কর্তা আরও বলেন, ‘আমরা এই লাগাতার বন্‌ধ চালিয়ে যাব এবং পুলিশের জুলুমের বিরুদ্ধে জেলা জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।’ এদিকে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলেকে বেনাচিতি বাজারের বন্‌ধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে মহকুমাশাসক বলেন, ‘এই বন্‌ধ নিয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি বা কেউ মধ্যস্থতা চেয়ে আবেদন করেনি।’ ভবিষ্যতে কোন আবেদন বা অভিযোগ এলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে।

বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?

Like Us On Facebook