বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল আট স্কুল পড়ুয়া। পুলকারের সাইলেন্সার পাইপে আগুন লেগে ভস্মীভূত হল পুলকারের চালকের আসন সহ পুলকারের ভিতরের বেশকিছুটা অংশ। বিপদ বুঝে পুলকারের চালক রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের নামিয়ে দেওয়ায় বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যায় আট কচিকাঁচা।
জানা গেছে, পুলকারটি দুর্গাপুর স্কুলস স্টুডেন্টস ভেহিক্যাল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃত পুলকার। গাড়িটি দুর্গাপুরের হেমশীলা মডেল স্কুল থেকে কচিকাঁচা পড়ুয়াদের নিয়ে সগড়ভাঙ্গায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে যাচ্ছিল। কোকওভেন থানার সঞ্জীব সরণিতে পৌঁছনোর পর পুলকারের চালক টের পান গাড়ির সাইলেন্সার পাইপ থেকে আগুন বেরিয়ে গাড়ির ভিতরের অংশ দাউদাউ করে জ্বলছে। ভয়ে ছোট্ট স্কুল পড়ুয়ারা কাঁদতে শুরু করে দেয়। বিপদ বুঝে পুলকারের চালক ক্ষুদে পড়ুয়াদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়ায় বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যায়।
প্রশাসনিক নিয়মে পুলকারের ভিতরে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখার কথা। নিয়মিত গাড়ির ফিটনেস চেক করার কথা, কিন্তু বাস্তবে সেই নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই অবাধে দুর্গাপুরে কচিকাঁচাদের জীবন নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা চলছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল এদিনের ঘটনায়। এদিকে এই খবর চাউর হতেই দুর্গাপুরের অভিভাবক মহলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?