দুর্গাপুরে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বাড়িতে ঢুকে গলার নলি কেটে খুন করল এক যুবক। ছাত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করে ওই যুবক নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে নিজের পেটে কাস্তের কোপ মারে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং গুরুতর আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের গণতন্ত্র কলোনিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রহস্যময় খুনের কারন খুঁজতে সবদিক খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত কিশোরী এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। নাম মৌমিতা কুন্ডু। মিতার মা পারিচারিকার কাজ করেন। বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। জানা গেছে, বাবা-মা কাজে চলে গেলে বাড়িতে মিতা একাই থাকত। স্থানীয় মানুষ জানান, মিতা এমনিতে খুব শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল। পড়শিদের অনেকেরই অনুমান, প্রেমঘটিত কারণেই মিতা খুন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় অনেকেই একজন অজ্ঞাত পরিচয় যুবককে মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় মিতার বাড়িতে ঢুকতে দেখেছেন। তারপর মিতার বাড়ি থেকে গলগল করে রক্ত বের হতে দেখে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মিতার বাড়িতে ঢুকে দেখে মিতা নলি কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে আর ওই যুবকটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মিতার পাশে। জানা গেছে, একটি কাস্তে দিয়ে মিতার গলার নলি কেটে নিজেও পেটে কাস্তের কোপ মেরে এবং হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এদিকে, খবর পেয়ে মিতার মা ছুটে আসেন হাসপাতালে এবং মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতি জেনে জ্ঞান হারান।

মিতার মা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় মিতার সঙ্গে আলাপ হয় ওই যুবকের। যুবকের নাম অমর সিট। প্রায়ই মিতাকে বিরক্ত করত অমর। তাই অমরকে আগে একবার বাড়িতে ডেকে মিতার সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার কথা বলে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরেও মিতাকে ফোনে বিরক্ত করতো অমর। এইজন্য মিতার কাছ থেকে ফোন নিয়ে নেওয়া হয় বলে মিতার মা জানান। তারপর আজ সকালে হঠাৎ শুনি আমার বাড়িতে ঢুকে মেয়েকে খুন করে দিয়েছে অমর।’


Like Us On Facebook