দীর্ঘদিন দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে অব্যবহৃত জঙ্গলাকীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকার পর অবশেষে শুয়োরের খোঁয়াড়ের জায়গায় হতে চলেছে এক ঝাঁ-চকচকে পার্ক। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ডিভিসি মোড় হয়ে দুর্গাপুর শহরে ঢোকার মুখে সিটি সেন্টারে ১৯ একর জমি রীতিমতো জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছিল। এলাকায় বস্তি গড়ে ওঠায় শুরু হয় শুয়োর চাষ। শহরে ঢোকার মুখে এরকম নোংরা জায়গা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে নানা অভিযোগ ছিল।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বারবার এই জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা নিয়ে নানান বৈঠক হয়েছে কিন্তু কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি এর পরেই এই জমির অপর দিকে গড়ে ওঠে দুর্গাপুর সার্কিট হাউস। গড়ে ওঠে মহকুমা শাসকের বাংলো এবং মহকুমা প্রশাসনের নানান কার্যালয়ের ভবন, এর পরেই টনক নড়ে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের। একদিকে ঝাঁ-চকচকে সার্কিট হাউস সহ অন্যান্য সরকারি অফিস ও এসডিও বাংলো অন্যদিকে এই বিশাল ১৯ একর জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা যা শুয়োরের অবাধ বিচরণভূমি। শেষমেশ আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয় এই জায়গায় ইকো পার্ক গড়ে তোলার, যেখানে থাকবে প্রাতঃভ্রমণের জায়গা সহ বসার জায়গা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। আজ তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার, ছিলেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশিষ্ট আইনজীবী দেবব্রত সাঁই। এই পার্ক গড়ে তুলতে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা খরচ হবে বকলে জানা গেছে। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের এই উদ্যোগে খুশি এলাকাবাসী।