দুর্গাপুরের মিনিবাস মালিকরা বেআইনি টোটো ও অটো বন্ধের দাবিতে ডেপুটেশন দিলেন মহকুমাশাসককে নচেৎ দুর্গাপুরে বরাবরের জন্য মিনিবাস বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন। বেআইনি টোটো ও অটোর দৌরাত্ম্যে দুর্গাপুরের মিনিবাসগুলি চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিভিন্ন রুটে মিনিবাসের যাত্রী তুলে নিয়ে টোটো-অটোর রমরমা অবস্থা। অপরদিকে মিনিবাসগুলি সরকারি নিয়ম মেনে চড়া পরিবহণ ট্যাক্স দিয়ে রাস্তায় যাত্রী না পেয়ে চরম লোকসানে চলতে চলতে কার্যত বন্ধের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ মিনিবাস মালিকদের। এই পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে দুর্গাপুরে কয়েক হাজার শ্রমিকের রুজি রোজগার জড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি মিনিবাস মালিক সংগঠন গুলির। অথচ এতদিন প্রশাসনের উদাসীনতায় শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে টোটো-অটোর রাস্তায় রমরমা অবস্থা। বেশকিছুদিন আগে দুর্গাপুরের মিনিবাস মালিক সংগঠনগুলি দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলেকে শহরে অটো-টোটোর দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবিতে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে লোকসানে চলতে চলতে দুর্গাপুরে মিনিবাসগুলি আজ অবলুপ্তির পথে যে পা বাড়িয়েছে সেই দাবি করে অবিলম্বে বেআইনি টোটো-অটো পরিষেবা বন্ধের দাবি জানান বাস মালিকরা।

যদিও মহকুমাশাসকের নির্দেশে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৫০ টি বেআইনি টোটো আটক করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মহকুমাশাসক বিশেষ অভিযান চালিয়ে কয়েকটি নতুন টোটো বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করার দায়ে আটকও করেন। বুধবার ফের দুর্গাপুরের মিনিবাস মালিক সংগঠনগুলি দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলেকে শহরে বেআইনি টোটো-অটো বন্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার দাবি জানান, নচেৎ দুর্গাপুরের বুকে লোকসানে চলা মিনিবাস ব্যবস্থা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন দুর্গাপুরের মিনিবাস মালিক সংগঠনগুলি। মিনিবাস মালিক সংগঠনের পক্ষে অলোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা শহরে বেআইনি টোটো-অটো বন্ধের দাবিতে মহকুমাশাসককে বারবার ডেপুটেশন দিয়েছি। অভিযান হলেও টোটো-অটোর বিরুদ্ধে প্রশাসন বরাবরই নরম মনোভাব দেখিয়েছে। এবার যদি সেই একই মনোভাব নেয় প্রশাসন তবে লোকসানে চলতে চলতে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে দেওয়ালে তাই আমরা চিরতরে দুর্গাপুরের বুকে মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ করে দেব। সে ক্ষেত্রে আমরা কোনভাবেই দায়ী থাকব না। এ ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই।’

Like Us On Facebook