এবছর অসময়ে বৃষ্টিতে চাষীদের ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই শীতের মরসুমে বিকল্প চাষ হিসেবে বিভিন্ন রঙের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করছেন দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকার চাষীরা। বিশেষ করে দুর্গাপুরের দামোদর নদ সংলগ্ন সোনাইচন্ডিপুরের উর্বর জমিতে চাষীরা আলুর বিকল্প হিসেবে শীত মরসুমে রঙীন ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করছেন। স্থানীয় বাজারে চাহিদাও রয়েছে এই পুষ্টিকর ফুলকপি-বাঁধাকপির। সাদা ছাড়াও হলুদ, সবুজ, বেগুনী রঙের ফুলকপি এবং রঙীন বাঁধাকপি পাইকারি বাজারে ২৫-৩০ টাকায় এবং খুচরো বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সোনাইচন্ডিপুরের চাষী নির্মল রায় ও গৌরাঙ্গ রায় রঙীন ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করছেন। তাঁরা জানান, আলুর বীজের দাম বেশ বেড়েছে। তাছাড়া রাসায়নিক সারের কালোবাজারি এবং অসময়ে বৃষ্টিপাতে আলু চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তাই এবার শীতে বিকল্প চাষ হিসেবে এই রকমারি ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করে তা বাজারজাত করে আমরা বেশ ভালো দাম পাচ্ছি। কম ঝুঁকির এই রকমারি ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করে আমরা বেশ খুশি।
জানা গেছে, নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সে এই জাতীয় রঙীন ফুলকপি বাঁধাকপির প্রচুর চাহিদা আছে। সেখানে এই জাতীয় রঙীন ফুলকপি-বাঁধাকপির প্রচুর চাষও হয়। বর্তমানে আমাদের দেশেও এই ধরণের চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন চাষীরা। দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় চাষীরা এবছর রঙীন ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করছেন বলে জানা গেছে। বুদবুদের কেন্দ্রীয় কৃষি বিজ্ঞান গবেষণাগারের বিজ্ঞানী ডঃ সুব্রত সরকার এই রকমারি ফুলকপি-বাঁধাকপি প্রসঙ্গে জানান, এগুলির কোন বৈজ্ঞানিক নাম নেই। তবে এগুলি এক একটা প্রজাতির ফুলকপি বা বাঁধাকপি। হলুদ ফুলকপিকে ক্যারোটিনা এবং গোলাপি বা হাল্কা বেগুনী রঙের ফুলকপিকে ভ্যালোটিনা বলা হয়। ক্যারোটিনায় ভিটামিন-এ রয়েছে। বেগুনী কপিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, সার্বিক ভাবে বলতে গেলে এই রঙীন ফুলকপি বাঁধাকপিতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে।