দুর্গাপুরের লাউদোহায় খুন হওয়া কবিতা শুক্লার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে এলাকায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এল। জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের উপস্থিতিতে রাস্তার উপর এদিন বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কবিতা শুক্লার বাড়িতে গিয়ে কবিতার পরিবারকে সমবেদনা জানানোর জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই বুধবার সকালে লাউদোহার মামাকুঠি এলাকায় আসেন। লক্ষণবাবু দলীয় কর্মীদের কাছে ওই এলাকার বিজেপি কার্যকর্তা কে তা জানতে চাইলে উপস্থিত দলীয় কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা সারদা প্রসাদ ঘোষের নাম বলতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় প্রবীণ বিজেপি নেতা নকুল মন্ডল। তিনি বলে ওঠেন, আমিই এখানের বিজেপি কার্যকর্তা। নকুলবাবু উপস্থিত সকলের সামনেই তারস্বরে চেঁচিয়ে সারদা প্রসাদের বিরুদ্ধে বলে উঠেন, ‘ও তো তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে।’ উতপ্ত বাক্য বিনিময়ে দু’পক্ষই কোমর বেঁধে পরস্পর বিরোধী অভিযোগ তুলে বিতন্ডা শুরু করে দেয়। এক সময় জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই আসরে নেমে দুই পক্ষকে নির্দিষ্ট দূরত্বে সরিয়ে দিয়ে ঝগড়া থামান। এই ঘটনায় সকলের সামনে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান বিজেপির জেলা সভাপতি। দলীয় প্রবীণ কর্মীর মুখে অস্বস্তিকর কথা শুনে বেশ অপ্রস্তুতে পড়ে গেলেও লক্ষণ ঘোড়ুই সঙ্গে সঙ্গে কৌশলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করে বলেন, ‘বিজেপি এখন আর ছোট নয়, বৃহৎ পরিবার। তাই একটু আধটু ঠোকাঠুকি থাকতেই পারে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’